ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বিকৃতি: আরও সময় লাগছে তদন্তে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বিকৃতি: আরও সময় লাগছে তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

ঢাকা: ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসম্পূর্ণ তথ্যের পেছনে দোষীদের খুঁজে বের করতে আরও এক মাস সময় নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি। এর আগে কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারায় আরও একমাস সময় নিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও কৃতিত্বের বিষয়টি যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে একাধিক ছবি রাখা হয়েছে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ও আবদুল মোনেম খানের।

অর্থমন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির এক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ সম্পর্কিত চিঠি পৌঁছাতে দেরি হওয়া ও নিয়মিত কাজের পাশাপাশি এ কাজ হচ্ছে বলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করা যায়নি। পাশাপাশি ইতিহাস বিকৃতি সম্পর্কিত কাজটি খুবই জটিল ও স্পর্শকাতর হওয়ার কারণে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় বিবেচনায় আনতে হচ্ছে। তদন্ত কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ার এটিও একটি কারণ।  এসব কারণে আরও এক মাস সময় নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। এরইমধ্যে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।  

জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা তদন্তে হাইকোর্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অন্তর্ভুক্ত না করে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এবং পূ্র্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খানের ছবি অন্তর্ভুক্ত করে ইতিহাস বিকৃত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, নির্বাহী ব্যবস্থাপক শুভঙ্কর সাহা ও প্রচার-প্রকাশনা বিভাগের আবুল কালাম আজাদকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রণালয়ে এ সম্পর্কিত চিঠি এসে পৌঁছালে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।  


গত ২ অক্টোবর অর্থমন্ত্রণালয় এই কমিটি গঠন করে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয় ডেপুটি গর্ভনর আহমেদ জামালকে। কমিটিতে একজন নির্বাহী পরিচালক ও একজন মহাব্যাবস্থাপকও রয়েছেন।

এদিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বইটি সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আপাতত বইটি রিভিউয়ের কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
জিসিজি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।