ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উপযুক্ত মূল্য পেতে তৈরি পোশাকের মান বাড়াতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
উপযুক্ত মূল্য পেতে তৈরি পোশাকের মান বাড়াতে হবে ফাইল ছবি

ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য পেতে বাংলাদেশকে পণ্যের মান বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দাম বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। এজন্য আমাদের কেপাসিটি বাড়ানোসহ উচ্চমান সম্পন্ন পণ্যের দিকে যেতে হবে।

নিম্নমানের পণ্য দিয়ে দাম বাড়ানো বা বাজার বাড়ানো যাবে না। তবে আমরা এখন অনেক ভালো করছি।  

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান বাণিজ্য সচিব।  

তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক। এ সময় ইইউ অ্যাম্বাসির ইকোনমিক মিনিস্টার উপস্থিত ছিলেন।

মফিজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বেশ উপকৃত হচ্ছে। এ বাণিজ্য সুবিধার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, তৈরি পোশাক খাতের উন্নতি হচ্ছে এবং বাংলাদেশের শ্রমিকরা উপকৃত হচ্ছেন। বাংলাদেশ আশা করছে, আগামীতে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করি, ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি তৈরি পোশাক আমদানি করবেন। আরো আশা করি, ২০২৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়া হবে। এজন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বাণিজ্য সচিব বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে লেবার ইস্যু, আইএলও কনভেনশন, মজুরি বোর্ড, পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্সসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো উন্নত করে গড়ে তোলা হয়েছে। বিল্ডিং ও ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। উন্নত ও কর্মবান্ধব পরিবেশও নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন অনেক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিন কারখানার মধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে ৭টি। কাজের পরিবেশ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। উন্নত পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছেন।

তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধন করেছে। শ্রমিকরা এখন যেকোনো সময়ের তুলনার বেশি শ্রম অধিকার ভোগ করছেন। রানা প্লাজার পর বাংলাদেশে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিক ও মালিকরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন। এতে তারা খুশি।  

বাংলাদেশে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, বিল্ডিং ও ফায়ার সেফটি নিশ্চিতকরণ এবং কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ইইউর প্রতিনিধিরা। তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি পোশাকের দাম বাড়াতে সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনাসহ এ খাতের সহযোগিতায় ইইউ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।