ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রাণ ‘বর্ষসেরা আচার’ খেতাবে পেলেন ঢাকার নওরীন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
প্রাণ ‘বর্ষসেরা আচার’ খেতাবে পেলেন ঢাকার নওরীন বর্ষসেরা আচার' প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীরা

ঢাকা: আচার বানিয়ে ১৯তম প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতা-২০১৯ এ 'বর্ষসেরা আচার' খেতাবে ভূষিত হয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের নওরীন আহসান। পুরস্কার হিসেবে তিনি জিতে নিয়েছেন দুই লাখ টাকা। আর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নিয়ে ৪ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন চারজন নারী আচার রন্ধন শিল্পী। 

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা আচার খেতাব বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা, প্রাণ এগ্রো’র নির্বাহী পরিচালক শেখ সাজ্জাদ হোসেন এবং চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী পরিচালক ইসরারুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আচার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আমাদের নারীরা বহুকাল থেকে বাড়িতে আচার তৈরি করে আসছেন, যা আমাদের খাবারের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তোলে। কিন্তু আচার তৈরি করে নারীরা সেটাকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করতেন না। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিযোগিতাটি একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে বলেও তিনি।  

শিক্ষমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু আচার তৈরি নয় বরং মেয়েরা যে ঘরে এতো পরিশ্রম করে তার একটা স্বীকৃতি এ পুরস্কার। নারীরা এখন ঘরের বাইরে সব ক্ষেত্রেই অংশ নিচ্ছে। আর এ ধরনের আয়োজন নারীদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা রাখছে।

অনুষ্ঠানে আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রাণ গ্রুপ সবসময় এদেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। প্রাণের বিভিন্ন ধরনের পণ্য এখন বিশ্বের ১৪৯টি দেশে পাওয়া যাচ্ছে। প্রাণ গ্রুপে এক লাখেরও বেশি সদস্য কর্মরত আছেন।  প্রাণ শুধু আমাদের পরিবার নয় বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য একটি সম্পদ আর গ্রাহকরাই আমাদের প্রাণ।  

জাতীয় বর্ষসেরার খেতাব দেওয়ার পাশাপাশি টক, ঝাল, মিষ্টি এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ৩ জন করে মোট ১২জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও ৩৫ জন নারী প্রতিযোগীকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা পুরস্কার।  

সারাদেশ থেকে তিন হাজার ৭৯৬ জন নারী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে সাত হাজার ৮৯২টি আচার পাঠান প্রতিযোগীরা।  

গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাসসারা সুলতানা রত্নার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিচারক প্যানেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের নির্বাচন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।