ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এমএমই ঋণ অন্য খাতে খরচ করছে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
‘বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এমএমই ঋণ অন্য খাতে খরচ করছে’ এসএমই পণ্য মেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এমএমই ঋণ অন্য খাতে খরচ করছে বলে জানিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কে এম হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য রাখতে হয়। এই ঋণ শুধু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেটা মানছে না। এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা ব্যাংক খোলার প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সপ্তম এসএমই পণ্য মেলা শুরু উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম, এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মির্জা নুরুল গনি শোভন, এসএমই ফাউন্ডেশনের সাধারণ পর্ষদের সদস্য ও দৈনিক ‘সংবাদ’র প্রধান প্রতিবেদক আবদুস সালাম জুবায়ের।

এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শাহীন আনোয়ারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, অনেক ব্যাংক এসএমই ঋণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের না দিয়ে অন্য খাতে খরচ করছে। ব্যাংকগুলোর দাবি, এসএমই ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে শর্ত দিয়েছে অধিকাংশ উদ্যোক্তা তা পূরণ করতে পারছে না। এজন্য সেই ঋণের কৌটা পূরণ করার জন্য অন্যখাতে খরচ করছে। অন্যদিকে, অনেক উদ্যোক্তা এসএমই ফাউন্ডেশনে অভিযোগ করেছে, ঋণের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকে মাসের পর মাস চেষ্টা করলেও ঋণ মেলেনি। অথচ এসএমই ঋণের জন্য যে ধরনের নিয়মকানুন রয়েছে তারা পূরণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে হাতেগোনা কয়েকজন কোটিপতি ব্যবসায়ী রয়েছে। তারা ছাড়া বেশিরভাগই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এদের ছাড়া দেশের অর্থনীতির পরিবর্তন সম্ভব নয়। অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করতে হবে। সামনে এসএমই মেলা শুরু হচ্ছে। এই মেলায় তাদের সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।  

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ১৬ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সাত দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় এসএমই মেলা। সারাদেশ থেকে ২৮০টি এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নেবেন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১৮৮ জন নারী ও ৯২ জন পুরুষ উদ্যোক্তা মেলায় অংশ নিচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা। মেলায় পুরুষ ও নারী ক্যাটাগরিতে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা, ট্রফি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মির্জা নুরুল গনি শোভন বলেন, নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে অর্থই একমাত্র সমস্যা নয়। এর সঙ্গে আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। আমরা নতুন এসএমই নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছি। সেই নীতিমালায় অনেক সমস্যার সমাধান হবে।  

এসএমই ফাউন্ডেশনের সাধারণ পর্ষদের সদস্য ও দৈনিক ‘সংবাদ’র প্রধান প্রতিবেদক আবদুস সালাম জুবায়ের বলেন, মফস্বলের একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা অনেক কষ্ট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে। সারাবছর কোনো প্রচার-প্রচারণার সুযোগ পায় না। এই মেলা উপলক্ষে যদি নিজেদের তুলে ধরার সুযোগ পায় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবে।  

এসএমই মেলা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বানও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
জিসিজি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।