ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চূড়ান্ত আরএডিপি’র আকার কমে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
চূড়ান্ত আরএডিপি’র আকার কমে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা এনইসি সভা

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের ( ২০১৮-১৯) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) কাটছাঁট করা হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপি ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে সংশোধিত এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৫১ হাজার কোটি টাকা।

বরাদ্দ সরকারি খাত থেকে বাড়লেও বৈদেশিক সহায়তা খাতে কমেছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শেরে বাংলা নগর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে দেশের সমগ্র প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়।

এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দের খসড়া চূড়ান্তের কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন। সংশোধিত বার্ষিক কর্মসূচিতে মোট প্রকল্প সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯১৬টি। এরমধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৬২৯টি, কারিগরি ১৫৪টি এবং জেডিসিএফ (জাপানি ঋণ মওকুফ সহায়তা তহবিল) প্রকল্প দু’টি এবং স্বায়ত্বশাসন সংস্থা ও সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্পের সংখ্যা ১৩১টি। বরাদ্দবিহীন অনুমোদিত নতুন প্রকল্প ৯৮৫টি এবং বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প ২৫৬টি। পিপিপি প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮টি।

এছাড়া স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত সংশোধিত এডিপিও অনুমোদন করেছে। সংশোধিত এডিপিতে দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের ক্ষেত্রে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আইসিটির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহায়ক প্রকল্প, সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক প্রকল্প ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) বাস্তবায়িত নতুন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চলতি অর্থবছরে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে অনুমোদিত আরএডিপি।

তিনি আরও বলেন, দেশে বহুমুখী উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের সংখ্যাও বাড়ছে।

সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এমআইএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।