ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থ নয়, প্রতিষ্ঠান অ্যাফেক্টেড হয় ম্যানেজমেন্টের কারণে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
অর্থ নয়, প্রতিষ্ঠান অ্যাফেক্টেড হয় ম্যানেজমেন্টের কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থাভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয় না। প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রান্ত হয় ব্যবস্থাপনার (ম্যানেজমেন্ট) কারণে।

মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলনে-২০১৯ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে টাকার অভাবে একটি প্রতিষ্ঠানও কোনোদিন বন্ধ হয়েছে কেউ বলতে পারবে না।

কোনো প্রতিষ্ঠান যখন অ্যাফেক্টেড হয়, সেটা হয় ম্যানেজমেন্টের কারণে। বন্ধ হয় ম্যানেজমেন্টের কারণে।
 
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা নিয়ে ভুল জায়গায় ব্যবহার করছেন, এখন আর টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এসব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।
 
ব্যাংকে কোনো অসৎ কর্মকর্তার জায়গা হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ভালো ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। আমরা কারও ব্যবসা বন্ধ করবো না।
 
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু। তিনি বলেন, আমরা খেলাপি ঋণের ৪০শতাংশ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আদায় করেছি। ১ হাজার ঋণ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেছি। চলতি বছর আমানত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ৭শ কোটি টাকা।  
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, পদ্মা ব্যাংককে আগ্রাসী ঋণ বিতরণ বন্ধ করে খেলাপি ঋণ আদায়ে নজর দিতে হবে। দৈনন্দিন ব্যবসার সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণ করতে হবে। পদ্মা ব্যাংকের ইমেজ রক্ষার জন্য কোনো চেক ডিজ অনার (প্রত্যাখান) যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ২০১৯ সালকে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর ধরে কাজ করতে হবে কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করে।
 
অনুষ্ঠানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, যারা ঋণ নিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছে না এবং এ ধরনের ঋণ বিতরণের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনী।
 
একই সঙ্গে যারা ভালোভাবে ব্যবসা করছেন তাদের সহায়তা করতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক।
 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সার্মথ্য থাকা সত্ত্বেও যারা ঋণ পরিশোধ করছেন না তাদের চিহ্নিত করে সুবিধা দেয়া বন্ধ করা হবে। আগামী বছর থেকে পদ্মা ব্যাংকের মাধ্যমে জাতীয় সংগ্রহ প্রক্রিয়া চালু করা হবে।  
 
পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, আমরা নানা রকম প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত সব সমস্যা থেকে বের হয়ে এসেছি। খেলাপি ঋণ আদায়ের পাশাপাশি নতুন করে আমানত সংগ্রহ করেছি। আমরা সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
 
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, আইসিবির চেয়ারম্যান ড. ম‍ুজিব উদ্দিন আহমেদ প্রমুথ।
 
২০১৩ সালে কার্যক্রম শুরু করা ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ‘পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড’ নামে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির মালিকানায় রয়েছে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা ও আইসিবি।
 
চলতি বছরের ১৬ মার্চ নতুন লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে ৫৭ টি শাখা নিয়ে দেশব্যাপী কার্যক্রম চালাচ্ছে ব্যাংকটি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।