ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পরিবর্তন হচ্ছে ‘শান্তিনগর-মাওয়া রোড ফ্লাইওভারে’র নকশা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৯
পরিবর্তন হচ্ছে ‘শান্তিনগর-মাওয়া রোড ফ্লাইওভারে’র নকশা ফ্লাইওভারের ইলেস্ট্রেশন

ঢাকা: যানজট নিরসনের জন্য নতুন চমক হিসেবে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের ঝিলিমিল পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের নকশায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান মেট্রোরেল প্রকল্পের সঙ্গে ফ্লাইওভারের নকশার কিছু গরমিল রয়েছে। এই ফ্লাইওভার স্থাপিত হলেও মেট্রোরেলের সঙ্গে সঠিক সংযোগ হবে না।

ফলে যানজট নিরসনের পরিবর্তে মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মধ্যে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রকল্পটির নকশায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

জানা যায়, ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ডিএমআরটিডিপি) বা মেট্রোরেল প্রকল্প হবে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করা হবে।

ফ্লাইওভারটি পল্টন ইন্টারসেকশনে এমআরটি-৬কে অতিক্রম করবে এমন কথা চিন্তা করেই নকশা পরিবর্তন করা হচ্ছে। ২০১৭ সালে রিভাইস স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসটিপি) অনুযায়ী, দেশের সর্ববৃহৎ এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।

ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, আগের নকশায় এসব প্রকল্পের সঙ্গে ‘শান্তিনগর হতে ঢাকা-মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের নকশা ছিলো সাংঘর্ষিক।

‘মেট্রোরেল, হানিফ ফ্লাইওভার এবং বিআরটি-৩ রুটের কথা চিন্তা করেই নকশা পরিবর্তন করা হচ্ছে। ঢাকা শহরের সকল নির্মাণাধীন প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন ডিপিপি সংশোধন করা হচ্ছে। ’

রাজউক সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রাথমিক এলাইনমেন্টের সঙ্গে বিআরটি-৩ এবং এমআরটি-৬ এর মধ্যে ‘সংঘর্ষ’ এড়াতেই আবারও সংশোধন করা হবে ডিপিপি। সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক বিআরটি-৩  এর এলাইনমেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে কতিপয় র‌্যাম্প সংযোজন বিয়োজন করা হচ্ছে।

ফকিরাপুল ইন্টারসেকশনের পরে ফ্লাইওভারটি আরামবাগ (টয়েনবী সার্কুলার রোড) থেকে শুরু করে ঢাকা-মাওয়া রোডের ঝিলমিল পর্যন্ত নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এমআরটি-৬ এবং বিআরটি-৩ এর সঙ্গে সঠিক সংযোগ তৈরি হবে ফ্লাইওভারের।

এসব নকশা পরিবর্তন করে প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। ফ্লাইওভার নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণ এবং পরামর্শক খাতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা।

ঢাকা শহরের স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা ও ফ্লাইওভারটির এলাইনমেন্ট পর্যোলচনা করে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূর্ণ, ইউটিলিটি স্থানান্তরসহ নানা ব্যয় ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা অনুযায়ী, চারলেন ফ্লাইওভারের মোট দৈর্ঘ্য হবে ১৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। দুই লেনযুক্ত র‌্যাম্পের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ০৬ কিলোমিটার। চতুর্থ বুড়িগঙ্গা সেতুর দৈর্ঘ্য হবে (বাবু বাজার ব্রিজের উপর দিয়ে) ৪৪২ মিটার, আর প্রস্থ হবে চারলেন। প্রকল্পের আওতায় ১৬৫ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

প্রকল্পের পরিচালক নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা শহরের সকল প্রকল্পের সঙ্গে সঠিক সংযোগ সৃষ্টি করবে এই ফ্লাইওভার। এ জন্য সবার সঙ্গে বসে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই সামনে এগিয়ে যাবো। এর পরেই প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এমআইএস/এমএ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।