ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফেসবুকে ফায়ারবল আলোচনা প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএলের বক্তব্য

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৯
ফেসবুকে ফায়ারবল আলোচনা প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএলের বক্তব্য

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফায়ারবল পোড়েনি বলে যে প্রচারণা চলছে, সে বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। 

রোববার (৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পগোষ্ঠীটির তরফ থেকে বলা হয়, যে পোস্টটি দেওয়া হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চারপাশে যখন আগুন লাগার হিড়িক, তখন স্বভাবতই বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত পাড়ার মানুষের মাঝে বিরাজ করছে এক চাপা আতঙ্ক।

নানা আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি যে যার মত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে অগ্নিনির্বাপণের। আর ঠিক এ সময়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে সাধারণ মানুষের মাঝে। যেখানে বলা হয়, ‘একটি অফিসে অগ্নিনির্বাপণের উদ্দেশ্যে কেনা ফায়ারবল পরীক্ষামূলক দেখার জন্য আগুনে ছুঁড়ে ফেলার পরও তার কার্যকারিতা দেখা যায়নি। ফলে, মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, তবে কি বাজারের অগ্নিনির্বাপণ পণ্যও নিরাপদ নয়’?”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “ফেসবুক পোস্টটি অনেকেই শেয়ার দিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে থাকেন এবং এর সত্যতা জানার চেষ্টা করেন। তবে পোস্টটি পড়লে এবং এর ছবিগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করলে মনে হতে পারে এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। পোস্টের শুরুতে বলা হয়, ‘আমরা সেই জাতি যারা সব কিছুতেই ব্যবসার ধান্ধা খুঁজি’। ফায়ারবল বা এক্সটিংগুইশার সারা পৃথিবীব্যাপী অগ্নিনির্বাপণের জন্যে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার হয়। ফলে, এখানে ‘ব্যবসার ধান্ধা খোঁজা’ শব্দত্রয় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন তৈরি করে। তারপরই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয় #RFLফায়ারবল। অথচ ‘আরএফএল ফায়ার বল’ নামে কোনো ফায়ারবলই নেই। যে ফায়ারবলটির ছবি দেখানো হয়েছে তার নাম ‘এক্সপার্ট’, যা আরএফএল গ্রুপের একটি ব্র্যান্ড। পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘কার্যকারিতা দেখার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফায়ারবলটি আগুনে ছুঁড়ে ফেলার পর দশ মিনিট পার হলেও সেটা ফাটেনি’। কিন্তু পোস্টে দেওয়া ছবিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বলটির বেশিরভাগ অংশই আগুনে পোড়েনি। দশ মিনিট আগুনে থাকলে যে কোনো প্লাস্টিক আগুনে পুড়ে যাবে। যেহেতু ফায়ারবলের কভারের অংশ প্লাস্টিকের তৈরি, সেহেতু এটা ত্রিশ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের মধ্যেই পুড়ে যাওয়ার কথা, অথচ কভারটি প্রায় অক্ষত আছে। এমনকি শুধু একটু অংশ পুড়িয়ে ব্র্যান্ডের লোগো যে অংশে তা অক্ষত দেখানো হয়েছে। পোস্টটিতে বলা হয়, ‘আগুন থেকে বলটি হাতে নিয়ে দেখি, বলের ভেতর থাকা co2 পাউডারগুলো দেখা যাচ্ছে’। অথচ এটা প্রাথমিক জ্ঞান যে co2 হল এক ধরনের গ্যাস, যেটা কোনো ফায়ারবলেই থাকে না। ফায়ারবলের উপাদান হল ‘এবিসি পাউডার’। এছাড়া এ পাউডার আগুনে পুড়লেই রঙ বদলে কালো হয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু দেখা যাচ্ছে পোস্টদাতার আঙ্গুলে সাদা পাউডার লেগে আছে। ”

বিতর্ক খণ্ডন করে প্রাণ-আরএফএলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এ বিষয়গুলো বিবেচনায়- পোস্টটি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। ফলে, সমাজের সচেতন মানুষদের মনে এ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে যে, কারও ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধন বা অন্য কোনো উদ্দেশে এ ধরনের অপপ্রচার কতোটুকু নৈতিক? আর যারা সাধারণ মানুষকে এভাবে বিভ্রান্ত করে আতংক সৃষ্টি করে, তাদের কি আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায় না?”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “সাধারণত উন্নত ও ভালো মানের ফায়ার বল এক্সটিংগুইশার আগুনে ছুড়ে মারলে তা ৮ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়ে গড়ে ১০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। বিস্ফোরিত হওয়ার জন্য আগুনের তাপমাত্রা কমপক্ষে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।