ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বসুন্ধরা সিটিতে জমেছে পহেলা বৈশাখের কেনাকাটা

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
বসুন্ধরা সিটিতে জমেছে পহেলা বৈশাখের কেনাকাটা শাড়ি দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মাত্র একদিন বাদেই বাঙালি স্বাগত জানাবে বাংলা নববর্ষকে। আর নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব পহেলা বৈশাখ ঘিরে পুরোদমে কেনাকাটা জমে উঠেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম শপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটিতে। নতুন কালেকশনের পাশাপাশি শপিংমলের দোকানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। দোকানের ভেতর ও বাইরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রি-পিস, টু-পিস, টি-শার্ট, ধুতি এবং টপস।

দোকানগুলোতে ক্রেতারা ঢুঁ মারছেন, পছন্দসই পোশাকও কিনছেন। ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক ও পণ্য দেখাতে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে বিক্রয়কর্মীদের।

সাধ্যের মধ্যে পোশাক-পণ্য কিনতে প্রতিটি দোকানে রয়েছে ক্রেতাসাধারণের ভিড়।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, নববর্ষ উদযাপন করতে নগরবাসী ভিড় করেছেন বসুন্ধরা শপিংমলে। পহেলা বৈশাখের মাত্র একদিন বাকি থাকায় কেনাকাটা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। রঙের ক্ষেত্রে এবার লাল-সাদা ছাড়াও বিভিন্ন রঙের নকশার কাজ প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে ভিন্নতাও দেখা গেছে কিছু পোশাকে। কেউ কেউ কিনছেন সাদা-কালো রঙের পোশাক।

ক্রেতাদের মতে, উৎসবে তারা লাল-সাদাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। ক্রেতার কেনাকাটায় শীর্ষে রয়েছে- শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, টপস, স্কাট।

এসব পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে, ছোটদের পাঞ্জাবি ৬৯০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে, শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকায়, থ্রি-পিস ৭৫০ থেকে ৫ হাজার টাকা, স্কার্ট এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা, টপস লং ১২০০ থেকে ৩ হাজার, টপস শর্ট এক হাজার থেকে ২২০০ টাকা, টি-শার্ট ৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

এখান থেকে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করলে পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্যাশ ব্যাক। এছাড়া ব্র্যাক, নেক্সাস, এনআরবি কার্ড থেকে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ব্যাক পাওয়া যাচ্ছে।

লালমাটিয়া থেকে সপরিবারে বসুন্ধরায় বৈশাখের কেনাকাটা করতে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রাণের উৎসব হলো বাংলা নববর্ষ। আমরা সব সময় নানা আয়োজনে এ উৎসবটি উদযাপন করি, প্রাধান্য পায় পোশাক। তাই দেরিতে হলেও আসতে পেরেছি শপিংমলে।

মালেহা মীম নামে আরেকজন ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন রং আর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বৈশাখ উদযাপন করবো। যেহেতু উৎসবে লাল রং প্রাধান্য পায়, তাই লাল-সাদা মিলিয়ে পোশাক কিনবো।

ফ্যাশন হাউস সাদা-কালোর এরিয়া ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম সজীব বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বৈশাখ উপলক্ষে নানা পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। ক্রেতার চাহিদার আলোকেই এগুলো মার্কেটে আনা হয়েছে। বিক্রির পরিমাণও ভালো। তার মতে, শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
ইএআর/এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।