ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সুদের হার ৬-৯ শতাংশ ধরে কাজ করা কঠিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
‘সুদের হার ৬-৯ শতাংশ ধরে কাজ করা কঠিন’ প্রাইম ব্যাংকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৫ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাহেল আহমেদ বলেছেন, সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট) ৬-৯ শতাংশ ধরে নিয়ে কাজ করা অনেক কঠিন। মার্কেটই ঠিক করে দেয় সুদের হার কত হবে।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে প্রাইম ব্যাংকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৫ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাহেল আহমেদ এ কথা বলেন।

প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বলেন, সুদের হার সব সময় চাহিদা ও যোগানের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়।

মার্কেটই ঠিক করে দেয় সুদের হার কত হবে। ৯, ৮, ৭, ৬ ধরে নিয়ে কাজ করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সবাই চেষ্টা করছি যতখানি সম্ভব একটি গ্রাহকবান্ধব ব্যাংকিং ব্যবস্থা উপহার দেওয়ার জন্য।

রাহেল আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় গ্রাহকবান্ধব ব্যবসা করার চেষ্টা করছি। ৯ শতাংশ কেন আমরা আরও কমে দেওয়ার চেষ্টা করবো। সেক্ষেত্রে বাজারে আমানতের সুদ কমে এলে আমরা অবশ্যই গ্রাহককে দিতে পারবো। আমি মনে একটি চলমান প্রক্রিয়া, একদিন রাতারাতি কোনো কিছু করা সম্ভব হবে না। ব্যাংকিং খাতে যারা কাজ করেন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এটি করা সম্ভব।

দুই শতাংশ পরিশোধ করে খেলাপি ঋণ হালনাগাদ করা এবং যারা এই সুযোগ নেবে তারা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন। এটি সম্ভব হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাইম ব্যাংকের এমডি বলেন, ঋণের সুদ ৯ শতাংশ এবং ২ শতাংশ টাকা দিয়ে পরিশোধের বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে কোনো সার্কুলার আসেনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহেল আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং খাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে যাচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব। ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জটি শুরু হয়েছে খেলাপি ঋণের কারণে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংক যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছে।

আমাদের কাছে চাইলে পরামর্শ দিচ্ছি। আমার মতামত হচ্ছে অর্থঋণ আদালতের পরিধি বাড়ানো এবং আজকের বাস্তবতা আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করা দরকার। খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী এক-দেড় বছরে সেটি কোন দিকে মোড় নেয় তা দেখার বিষয়।

প্রাইম ব্যাংকের বিষয়ে এমডি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ কিভাবে কমিয়ে আনতে হয় গত দু’বছরে আমরা সেই জায়গা ধরতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এই বিষয়টি একদিনে ঠিক করে ফেলতে পারতাম। দেশের বাস্তবতার কারণে এত সময় লেগেছে। ২০১৬-১৭ সালে যে ঋণ প্রভিশন ছিল ২০১৮ সালে সেখান থেকে ৫০ শতাংশ কমে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে।

২০১৮ সালের মতো অস্থির সময়ে আমরা ভালো করেছি। দেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে কোন ইঁদুর দৌড়ে প্রাইম ব্যাংক দৌড়াচ্ছে না। এক নম্বর, দুই, ফরচুন ৫শ’ ব্যাংক হতে হবে। এধরনের কোনো দৌড়ে আমরা নেই।

আমরা টেকসই একং মানসম্পন্ন মুনাফার দিকে নজর দিয়েছি। আমাদের সবার একটাই চাওয়া, আমরা ওইদিকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি।

এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম রব্বানী, মো. তৌহিদুল আলম খান, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।