ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বহুপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের ৬ সুপারিশ 

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
বহুপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের ৬ সুপারিশ 

ঢাকা: জাতিসংঘের আর্থ-সামাজিক কাউন্সিল-ইকোসকের উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) ফোরামে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়ে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।  

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, টেকনোলজি, উদ্ভাবন ও সক্ষমতা বিনির্মাণ বিষয়ক এ উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় মুখ্য সচিবের সঙ্গে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন আইটিইউ’র রেগুলেটরি অ্যান্ড মার্কেটিং এনভায়রনমেন্ট ডিভিশনের প্রধান সোফিয়ে ম্যাডেনস এবং আঙ্কটাডের গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল ট্রেড অ্যানালাইসিস সেকশনের প্রধান মিহো শিরোতরি।

টেকসই উন্নয়ন অর্জনে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে কীভাবে আরো কার্যকর করা যায়, বাণিজ্যের সুবিধার সমবন্টন কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, ই-কমার্সসহ প্রযুক্তির উদীয়মান ধারা বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, উন্নয়নশীল দেশসমূহের সুযোগ ও ঝুঁকিগুলো কী কী, ই-কমার্সের সুবিধা নিতে দেশগুলো কী ধরনের নীতি বাস্তবায়ন করতে পারে, পেছনে পড়ে থাকা দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী ধরনের সহয়তার পদক্ষেপ নিতে পারে এবং এলডিসির দেশসমূহের বিশ্ব বাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কী ধরনের নীতি বাস্তবায়িত হতে পারে- থিমেটিক আলোচনায় এসব প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানসহ অন্যান্য আলোচকরা।

মুখ্য সচিব বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করার বিষয়ে ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হলো- ১. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই একটি সার্বজনীন, নীতিভিত্তিক, উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, প্রত্যাশিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন এবং ন্যায়সঙ্গত বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ডব্লিউটিও এর মন্ত্রী পর্যায়ের সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার চলতি চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করা এবং বাণিজ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা বিশ্বব্যাংকের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। এটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যাতে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের একটি বড় নিয়ামকে পরিণত হয়। ৩. বাণিজ্য বাধা, বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে ভর্তুকি এবং অন্যান্য বাণিজ্য ক্ষতির পদক্ষেপসমূহকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে। ৪. বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার পদ্ধতিগত ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য গৃহীত ‘দোহা ডেভোলপমেন্ট এজেন্ডা’র আলোচনা সমাপ্ত করতে হবে। ৫. ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং আর্থিক-প্রযুক্তি এমএসএমই’র বাণিজ্য অর্থায়নের ক্ষেত্রে কার্যকর একটি ব্যবস্থা হতে পারে। ৬. সক্ষমতা বিনির্মাণ, বৈচিত্র সৃষ্টি, মূল্য সংযোজন এবং বৈশ্বিক মূল্য চেইনে সমন্বয় আনতে বাণিজ্য অগ্রসরতায় সহায়তা বাড়াতে হবে।

উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে মুখ্য সচিব আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামোর উপর জোর দেন। এক্ষেত্রে তিনি বিবিএনজি (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) এবং বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার) সহযোগিতা কাঠামোর কথা উল্লেখ করেন।

গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া চতুর্থ এফএফডি ফোরামের এ অধিবেশন আন্তঃরাষ্ট্রীয় আলোচনার মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গ্রহণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
টিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।