ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিগারেট কোম্পানিগুলোকে রপ্তানিমুখী হওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
সিগারেট কোম্পানিগুলোকে রপ্তানিমুখী হওয়ার আহ্বান বক্তব্য রাখছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া

ঢাকা: দেশে ব্যবহার কমিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলোকে রপ্তানিমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, আপনারা রপ্তানি করেন, আমাদের পক্ষে থেকে সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ইউনাইটেড ঢাকা ট্যোবাকো কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস বাংলাদেশ (এমটব) এবং উইমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহারের পরিমাণ কমানোর বিষয় বিবেচনায় রেখে এবারের বাজেটে দাম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে দেশি ব্যবহার কমিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরো বলেন, গত বছর বাজেটেও আমরা রপ্তানির উপর ছাড় দিয়েছি। এবারো দেওয়া হবে। আপনারা এই সুযোগটি কাজে লাগান। রপ্তানি বাড়াতে আমরা অন্যান্য পণ্যের মতো সিগারেটের উপর জিরো ট্যাক্স করে দিয়েছি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রেভিনিউ আদায় এনবিআর’র কাছে মুখ্য নয়। আমরা চাই দেশে ইনভেস্টমেন্ট আসুক। শুধু গার্মেন্ট নয় অন্যান্য কোম্পানিগুলো এক্সপোর্ট করুক। এক্ষেত্রে প্রচলিত ও অপ্রচলিত সব পণ্যই এক্সপোর্ট হোক।

ট্যাক্স আপিলের জন্য অমীমাংসিত করের হার সর্ম্পকে তিনি বলেন, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মামলা মোকাদ্দমা করে কর দিতে দেরি করে। এক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বছরও লেগে যায়। সরকার যেন তার রেভিনিউ পায় এজন্য এটি করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মামলা মোকাদ্দমা না করে সরাসরি আসুন বসুন, আমরা সমাধানে চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, আমরা সবার প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আগামী বাজেটে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সভায় বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত সব কোমল পানীয়র উপর থেকে সম্পূরক শুল্ক হার কমানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে কোমল পানীয়ের স্থানীয় কর হার অনেক কম। ভারতে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ২৯ দশমিক ২ শতাংশ, নেপালে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ, ভুটানে ৩০ শতাংশ, আর বাংলাদেশে তা ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশে এটি সর্বোচ্চ। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখানে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।

ইউনাইটেড ঢাকা ট্যোবাকো কোম্পানি লিমিটেডের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স জাকির ইবনে হাই বলেন, কর ফাঁকি দিয়ে বাজারে সস্তা সিগারেটের সয়লাব হয়ে গেছে। এখন রাইস মিলের ভেতরেও সিগারেট তৈরি হচ্ছে। এতে করে আমরা যারা বিনিয়োগ করছি তারা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাতে যদি এ অবস্থা হয় তাহলে আমরা ব্যবসা করবো কিভাবে? এজন্য আগামী বাজেটে সিগারেটের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এমটবের প্রতিনিধি মাহতাবউদ্দিন টেলিযোগাযোগ শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করতে সরকারের সিম বিক্রির উপর আরোপিত সম্পূরক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।