ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজশাহীতে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে প্রথম দিনেই বিলম্ব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
রাজশাহীতে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে প্রথম দিনেই বিলম্ব রাজশাহীতে টিসিবি পণ্য বিক্রি, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রমজান মাসকে সামনে রাজশাহীতে ট্রাকে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পণ্য বিক্রি শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

তবে পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ১১টা থেকে। এতে সকাল থেকে সাধারণ ক্রেতাদের রোদের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্ট অপেক্ষা করতে হয়।  

জানতে চাইলে টিসিবি’র রাজশাহী কার্যালয়ের আঞ্চলিক প্রধান প্রতাপ কুমার বাংলানিউজকে জানান, আজ প্রথমদিন ব্যাংক ড্রাফট করতে গিয়ে ডিলারদের দেরি হয়ে যায়। যে কারণে বেলা ১১টা থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। একঘণ্টা বিলম্বে দুপুর ১২টা থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করা হয়। তবে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে যথা সময়েই নির্ধারিত পয়েন্ট ও দোকানগুলোতে সাধারণ ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে টিসিবি'র পণ্য কিনতে পারবেন। সবার সুবিধার্থে ৩০ রমজান পর্যন্ত এ পণ্য বিক্রি করা হবে।  

এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ রয়েছে। যেগুলো গুণে ও মাণে বাজারের অন্য পণ্যের চেয়ে অনেক ভালো। আপাতত ৩০ রমাজন পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করা হবে। এর পর যদি কোনো কারণে মেয়াদ বাড়ানো হয়, তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।  

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগে ডিলার ৩৮৬ জন ডিলারের মাধ্যমে টিসিবি'র পণ্য বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর জেলায় ডিলারের সংখ্যা হচ্ছে ২৬ জন। আর মহানগর এলাকায় রয়েছেন ৭৮ জন ডিলার। এর মধ্যে কেবল পাঁচজন ডিলার ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করবেন। বাকি ৭৩ জন ডিলার মহানগরজুড়ে থাকা তাদের বিভিন্ন দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করবেন।

এদিকে, বুধবার থেকে রাজশাহী মহানগরের সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, গৌরহাঙ্গা রেলগেট, লক্ষ্মীপুর, ভদ্রা ও নওদাপাড়া বাজারসহ পাঁচটি পয়েন্টে পণ্যগুলো বিক্রি হচ্ছে। প্রথম অবস্থায় চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল এ চারটি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে রমজানের পাঁচদিন আগে থেকে ছোলা ও খেজুর বিক্রিও শুরু করবে টিসিবি।  

চিনির বিক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৪৭ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা। আর মসুর ডাল ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহানগরের পাঁচটি পয়েন্টে একটি করে ট্রাকে পণ্যগুলো বিক্রি করা হবে। প্রতি ট্রাকে ১ হাজার ৪০০ কেজি পণ্য থাকবে। এর মধ্যে চিনি ৫০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৫০০লিটার ও মসুর ডাল ৪০০ কেজি থাকবে। গোটা শহরে মোট ৭ টন পণ্য বিক্রি করা হবে। তবে রমজানের পাঁচদিন আগে ছোলা বিক্রি শুরু হবে। তখন ৬০ টাকায় ছোলা ও ১৩৫ টাকায় খেজুর কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।