ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানের আগেই চড়া সবজির বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
রমজানের আগেই চড়া সবজির বাজার দোকানে সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন এক বিক্রেতা

ঢাকা: রমজানের ঠিক আগ মুহূর্তে রাজধানীর বাজারে হঠাৎ বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। সবজিভেদে পাঁচ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি মূল্য পাওয়া গেছে।

আর বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে সবজি পর্যাপ্ত না থাকায় বাড়তি দাম।

ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন।

শনিবার (০৪ মে) রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজার, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে ১০০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুইদিন আগে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাঁচাপেঁপে, টমেটো ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজি এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে পটল, ধুন্দুল, বরবটি, করলা, উস্তা, কচুর লতি, বেগুন, গাজর, ঢেঁড়শ, চিচিঙা।

প্রতিকেজি পটল বিক্রি করতে দেখা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ও চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ ও জালি কুমড়া। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

বেড়েছে সব ধরনের শাকের দাম। প্রতি আঁটি লাল শাক, সাদা শাক ১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। লাউ শাক প্রতি আঁটি ৪০ টাকা, কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, পাট শাক ১৫ টাকা, কচু শাক ১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

দাম বাড়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু। সপ্তাহ ব্যবধানে পণ্যগুলোর দাম পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ-আলুতে পাঁচ টাকা, আদা-রসুনে ২০ টাকা দাম বেড়েছে।

তানিশা আক্তার নামে এক ক্রেতা জানান, রজমান মাস আসা মানেই মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। বাজারে সব ধরনের সবজি পর্যাপ্ত থাকলেও তারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

তবে এ ক্রেতার সঙ্গে একমত নন খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর ইসলাম। তার মতে, পাইকারি বাজারে সবজি কম থাকায় সব ধরনের সবজিতে বাড়তি দাম রয়েছে। সবজির সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যাবে।

বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে সবধরনের মাছ। এসব বাজারে প্রতিকেজিতে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, রুই ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, বাইলা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, চিতল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি। এছাড়া এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশের দাম দুই হাজার টাকা।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস, চাল, ডাল, ডিম, লবণসহ বেশিরভাগ মুদি পণ্যের দাম। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, লাল লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯ 
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।