ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরাসরি ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
সরাসরি ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা

ব‌রিশাল: সারাদেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান।

সোমবার (২০ মে) ব‌রিশাল সদর উপজেলার ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন ক‌বির।  

প্রথম‌ দিন সদরে তিন টন করে দু’জন কৃষকের কাছ থেকে ছয় টন ধান সংগ্রহ করা হয়।

 

এছাড়া জেলার গৌরনদী, মেহেন্দিগঞ্জসহ বেশকিছু উপজেলায় যেসব কৃষকদের কার্ড রয়েছে তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চাষিদের দাবি অনুযায়ী বাজারের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে কেনা হচ্ছে এ ধান।

সদর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সদর উপজেলায় মোট ১৪১ টন ধান এবং ৩০০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার কার্যক্রম এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।  

তিনি বলেন, বাজারের চেয়ে পাঁচ ভাগ আদ্রতা কমে ১৪ ভাগ আদ্রতার ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছেন। এরইমধ্যে বেশ সাড়াও পাওয়া গেছে।  

এদিকে, ধান বিক্রি করে সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের আস্তাকাঠী এলাকার কৃষক মো. জলির হাওলাদার জানান, গত কয়েক বছর ধরে তিনি সরকারের ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এতে করে বাইরের বাজার থেকে দাম বেশি পেয়েছেন। গ্রামে পাইকাররা ধান মণপ্রতি মোটা-চিকন ভেদে চার থেকে পাঁচশ’ টাকা দামে কিনছেন। ফলে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। আর এখন সরকারের কাছ থেকে মণপ্রতি ধানে এক হাজার ৪০ টাকা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, তিন একর জমির মধ্যে দুই একর জমিতে নিজে ধান লাগিয়েছি। বাকি এক একর বর্গা দিয়েছি। দুই একরে এক লাখ ছয় হাজার টাকা খরচ করে ১৮০ মণ ধান পেয়েছি। যেখান থেকে তিন টন ধান বিক্রি করেছি। এরইমধ্যে ৭৮ হাজার টাকা হাতে এসেছে, যদি সব ধান এ দামে বিক্রি করতে পারি, তবে লোকসানের কোনো শঙ্কা নেই।

একই এলাকার অপর এক কৃষক গৌতম রায় বলেন, সরকারিভাবে ধানের দাম ২৬ টাকা ও চালের দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ মণ ধান বিক্রি করেছি, আরো ২০ মণ করবো। গত তিন বছর ধরে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করছি। যে দাম আশা করেছি, তা না পেলেও সরকারের এ পদক্ষেপের কারণে লোকসানে তো পড়তে হচ্ছে না। আর লাভও তো কিছুটা হবে।

এদিকে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা অবনী মোহস দাস বাংলানিউজকে জানান, গোটা বরিশাল বিভাগে পাঁচ হাজার ১৯ টন ধান ও ১৬ হাজার ৩০ টন চাল সংগ্রহ করা হবে।  

যার মধ্যে বরিশাল জেলায় এক হাজার ৫৮৭ টন ধান এবং চার হাজার ৪৫১ টন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান প্রতিকেজি ২৬ টাকা এবং চাল প্র‌তিকেজি ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।