ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ কর মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান, ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সরকারের সহায়তা পেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

রোববার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অপ্রদর্শিত স্বর্ণকে কর দিয়ে বৈধ করার লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী ‘স্বর্ণ কর মেলা’র উদ্বোধন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, সরকার একটু সহায়তা করলে এ দেশের অর্থনীতিতে আমরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবো।

বস্ত্র, পাট ও চামড়া শিল্পের পর এ দেশের অর্থনীতিতে জুয়েলারি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। ঢাকার অদূরে জুয়েলারি পল্লীর জন্য জমি বরাদ্দ ও আধুনিক জুয়েলারি ইনস্টিটিউশন তৈরির অনুমোদন দিলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ দেশের জুয়েলারি শিল্প বিশ্ববাজারে নেতৃত্ব দেবে।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে পাশের দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে শুল্ক ও কর নির্ধারণ করতে হবে।

বাজুস সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি এ সুবর্ণ সুযোগ কাজে না লাগায় ও পরে কোনো জটিলতা তৈরি হয়, তবে এর দায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বহন করবে না।

এর আগে, মেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এনবিআর ও বাজুস যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সহ-সভাপতি এনামুল হক খান প্রমুখ।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। তিন দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার (২৫ জুন)। এছাড়া, সব বিভাগীয় শহরে ২৪ ও ২৫ জুন ‘স্বর্ণ কর মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৮ মে এনবিআরের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ী বা স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী কর্তৃক অঘোষিত অমজুদকৃত এবং উক্ত নীতিমালার আওতায় ঘোষিত স্বর্ণ স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পোলিশড ডায়মন্ড এবং রৌপ্যের ওপর প্রদেয় আয়কর কমিয়ে প্রতি ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য ১ হাজার টাকা, প্রতি ক্যারেট কাট ও পোলিশড ডায়মন্ডের জন্য ৬ হাজার টাকা এবং প্রতি ভরি রৌপ্যের জন্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ’

‘সংশ্লিষ্ট ডিলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী বা স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারীকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে অঘোষিত এবং মওজুদকৃত স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পোলিশড ডায়মন্ড এবং রৌপ্য সম্পর্কে ঘোষণা দিয়ে কর পরিশোধ করতে হবে। এই প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এসএমএকে/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।