ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লেবু-জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
লেবু-জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: উৎপাদন বাড়িয়ে লেবু-জাতীয় ফসলের আমদানি নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সিলেটের আগের সেই স্মৃতিময় সুস্বাদু কমলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সিলেটে নতুন করে কমলার বাগান করতে হবে। এ কমলা ফিরিয়ে আনার জন্য বাগান তৈরির উদ্যোগ নিলে সরকারও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

‘দেশে লেবু-জাতীয় ফসলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক কম, যা আমদানি নির্ভর। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ কমলা, মাল্টা আমদানি করতে হয়।

দেশে আমদানি করা এসব কমলা নিম্নমানের। ’

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামাড়বাড়ীর আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে লেবু-জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের উদ্যোগে প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা-২০১৯ এ তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ফারুখ আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপিএ পুলের সদস্য কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমদানি করা লেবু-জাতীয় ফলের দাম বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে কেনা সম্ভব না। যার প্রেক্ষিতে সরকার দেশের লেবু-জাতীয় ফসল সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে দেশে লেবু-জাতীয় ফসলের উৎপাদন দিনে দিনে বাড়ছে। তবে চাহিদার তুলনায় সেটি অনেক কম। কিছু পরিমাণ লেবু রপ্তানিও হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে মাল্টা, বাতাবি লেবু, কমলা, এলাচি লেবু, জারা লেবু, কলম্বো লেবু, সাতকরা, আদাজামিরসহ নানা ধরনের লেবু-জাতীয় ফল রয়েছে। এসব ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশব্যাপী বিপ্লব ঘটাতে হবে। এগুলোর প্রসার ও উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সাইট্রাস বা লেবু-জাতীয় ফলের মধ্যে দেশে মাল্টা, কমলা ও বাতাবি লেবু চাষের প্রচুর সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টিবহুল ও উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে এ ফল ভালো হয়। লেবু-জাতীয় ফলের চাষকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

কৃষির সাফল্যে কৃষকের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে ফসলের বিপ্লবের পেছনে মূলত কৃষকদের অবদানই বেশি। তবে এক্ষেত্রে সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের অবদানও কম নয়। তাদের সাফল্যের কথাও প্রচার হওয়া দরকার।  

বিশেষ অতিথি কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, প্রকল্পের কার্যকারিতায় বাস্তবায়নকারী ও উপকারভোগীদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। বছরে ১৭ কোটি টাকার কমলা ও মাল্টা আমদানি করতে হয়। আর রপ্তানি মাত্র ১০ কোটি টাকা। আমদানি নির্ভরতা কমাতে না পারলে এ প্রকল্পের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।  

‘আগামীতে অন্ততপক্ষে মাল্টা যেন আমদানি না করতে হয়, এর জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বারি মাল্টা-১ খুবই ভালো মানের মাল্টা। আমাদের কমলা ও মাল্টাতে স্বয়ংসম্পুর্ণতা অর্জন করতে হবে এবং রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সবাইকে এ লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে। ’

লেবু জাতীয় ফসলের জন্য নেওয়া প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যার পুরোটাই সরকারি হবে অর্থায়নে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বাড়াতে দেশের সাতটি বিভাগের ৩০টি জেলার ১২৩টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।