ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-থাই বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ার অপার সম্ভাবনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৯
বাংলাদেশ-থাই বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ার অপার সম্ভাবনা

সিলেট: বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

রোববার (৬ অক্টোবর) সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরুং ফথং হামফ্রেইজ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।

 
 
থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে ৩২টি থাই কোম্পানি বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে আমাদের কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিমসটেক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের সংগঠন বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল আ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) আওতায় থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

এসময় বাংলাদেশিদের জন্য সহজে থাই ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি অনুসারে সঠিক কাগজপত্র জমা দিয়ে যথাযথভাবে আবেদনের আহ্বান জানান থাই রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের নৌ যোগাযোগ রয়েছে। এই বন্দরকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এছাড়াও তিনি কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিকরণ এবং দু’দেশের মধ্যে পর্যটন খাতের বিকাশে গুরুত্বারোপ করেন।
 
সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের উন্নয়নে আমাদের পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমান সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহযোগিতার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তিনি সিলেটে নির্মিতব্য শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে থাই বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান এবং এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদ, পরিচালক এহতেশামুল হক চৌধুরী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আলীমুল এহছান চৌধুরী, নজরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-থাই অ্যাম্বাসির ফার্স্ট সেক্রেটারি কালথিরা কুমপিরোচানা, রাষ্ট্রদূতের একান্ত সচিব ওয়ারাছান বিনতে ইছরাইল, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, মো. এমদাদ হোসেন, মো. সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমদ, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, ভিএফএস বাংলাদেশের হেড অফ অপারেশন আম্বিয়া বাশার, ভিএফএস সিলেটের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।