ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৪ শতাধিক ব্র্যান্ড পার্টনার নিয়ে দারাজের সেলার সামিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
৪ শতাধিক ব্র্যান্ড পার্টনার নিয়ে দারাজের সেলার সামিট

ঢাকা: প্রায় ৪৪০ জন ব্র্যান্ড পার্টনার নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত ‘সেলার সামিট-২০১৯’ আয়োজন করেছে দারাজ। চীনভিত্তিক ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে দারাজে সংযোজিত নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সেলারদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজিত হয়েছে দ্বিতীয়বারের এ আয়োজন।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

সভাপতিত্ব করেন দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক।  

অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ই-কমার্স বাংলাদেশে এখনো নতুন একটি ধারণা। বাংলাদেশের বাজার ধারণার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ই-কমার্স কাজ করে যাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন করতেন ডিজিটাল বাংলাদেশ কি? আমি বলি, দারাজ নিজেরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সংজ্ঞা।  

সেলার সামিটে দারাজের গত এক বছরের বিভিন্ন দিক এবং আলিবাবার প্রযুক্তিগত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রুপ সিইও বিয়ারকে ম্যাককেলসেন।  

তিনি বলেন, গত এক বছরে দারাজের সক্রিয় ব্যবহারকারী বেড়েছে ১০০ শতাংশ। গ্রাহক বেড়েছে ২০০ শতাধিকের বেশি এবং অর্ডারের পরিমাণ বেড়েছে ২৫০ শতাংশেরও বেশি। এটা সম্ভব হয়েছে দারাজের প্ল্যাটফর্মে আলিবাবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এলগরিদম প্রবর্তনের ফলে। এর মাধ্যমে আমাদের প্ল্যাটফর্মে একই সময়ে আসা একাধিক গ্রাহক একই সময়ে তার পছন্দমত ভিন্ন ভিন্ন পণ্য দেখতে পারেন। গ্রাহকদের পছন্দকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে এমনটা করেছি আমরা।
 
এ সময় সেলারদের উদ্দেশ্য করে বিয়ারকে বলেন, পাঁচ বছরের যাত্রায় আমরা অনেক ভুল করেছি। তবে সেগুলো আমরা শুধরে নিয়ে উন্নতি করছি। এটাকে আপনাদের সাহায্যে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এর জন্য আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।  

আর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, দারাজে আলিবাবা আসার পর এখানে প্রযুক্তির একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে আমাদের রেভিনিউ অনেক বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের যে রেভিনিউ হয়েছে, তা এযাবতকালের মাসিক রেভিনিউয়ের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। দারাজ শুধু এমন গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে না যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। বরং গ্রাহকের পছন্দের সবধরনের পণ্য আমাদের প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে; এমনটাই আমাদের স্বপ্ন।

দারাজে এখন ১৫ হাজারের বেশি সেলার প্রায় ৬৫ লাখ পণ্য বিক্রি করছে বলেও জানান সৈয়দ মোস্তাহিদল হক।  

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের রেভিনিউয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ এটি এক হাজার ২০০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখি। এ বছর প্রায় ৭৫ লাখ অর্ডার আমরা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।