ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আয়কর আদায়ে ধনীদের ছাড় নয়: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
আয়কর আদায়ে ধনীদের ছাড় নয়: অর্থমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আয়কর আদায়ের ক্ষেত্রে ধনী ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনার বলেছেন এখানে ৪৪ লাখ মানুষ এবছর আয়কর দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে চার কোটি মানুষ আয়কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

তাহলে কেন তারা আয়কর দিচ্ছেন না। কোন আইনে বলা আছে তারা আয়কর দেবে না। আইন সবার জন্য সমান। যারা কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে অথচ দিচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে আয়কর এবং শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের রাজস্ব সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কর না দেওয়া তো বেআইনি কাজ না। আমরা আইনটি করার জন্য করলাম এটি বাস্তবায়ন করলাম না। এটা কিন্তু ঠিক না। আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে। যখন কোন আইনের অপব্যবহার হয় এটা আমাদের দায়িত্ব সেটি কঠোর হস্তে পালন করা। প্রথমে আমরা ভালোবাসা দিয়ে করবো তারপর না হলে আমরা কঠোর হবো।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মানুষ পারে না এমন কোন কিছুই নেই। আপনারা পারবেন দেখে বাজেটে সবকিছু দেখেশুনে করা হয়েছে। এখন যদিও আপনারা যথাযথভাবে কাজ বা দায়িত্ব পালন করেন। তাহলে আমাদের যে টার্গেট আছে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য আমরা দায়িত্ব নেইনি। আমাদের কাজের মধ্য দিয়েই লাভবান হতে চাই। প্রয়োজনে আমরা লোক নিয়োগ দেবো।

যারা ট্যাক্স দেওয়ার ক্যাপাসিটি রাখেন তাদের আমরা ছাড় দেবো না। কিছুটা হলেও তাদের প্রতি নির্দয় হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জিরোটলারেন্স ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আপনাদের দায়িত্ব দেশের রেভিনিউ অর্জন করার কয়টা সেক্টর আছে। রেভিনিউ ও ইনকাম ট্যাক্সের আপনারা সবাই আগে বসেন। যে কাস্টমস বোঝেন তিনি ইনকাম ট্যাক্সও বোঝেন। আইনে সহজ সুন্দরভাবে বলা আছে যে, আয়কর বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা নিজেরা যদি নিজেদের ছাড় দেই অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা করি কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। তাই বাজেটটা আপনারা ভালোভাবে পড়বেন।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এ বাজেট করার পরে ব্যবসায়ী ও দেশের সাধারণ জনগণ বলেন সবাই এটাকে ভালোভাবে নিয়েছে। আর এটা যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারি। তাহলে আমাদের ঘাটতিটা রয়ে যাবে। গত বছর আমাদের ঘাটতি ছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকা। বাজেট যখন আসে খরচ কিন্তু অপেক্ষা করে না। খরচ হয়ে যায় বছরের প্রথম দিন থেকেই।  

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে চাই এনবিআর আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করুক। সব বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। এনবিআর’র একটি বিতর্কিত আছে। আমরা ট্যাক্স দেই না, দিতে চাইলে অস্বীকার করি, হয়রানি করি, দেওয়ার দরকার নেই এই জাতীয় কথাবার্তা আমরা মোটেও সহ্য করবো না।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকার আমাদের একটি চুক্তির ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ করেছেন। কাজেই সরকার থেকে যে দায়িত্বটা আমাদের দেওয়া হয়। এই দায়িত্বটা যদি আমরা পালন না করি এটার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সে বিষয়টি আপনারা খেয়াল রাখবেন এবং আমরা এই যে বাজেটের যে লক্ষ্যমাত্রাগুলো আছে সে লক্ষ্যমাত্রাগুলো পালন করতে সব সময় সচেষ্ট থাকবো আশা করি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাজস্ব আদায়ে কাজ করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।