ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও নজর বিশ্বব্যাংকের

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও নজর বিশ্বব্যাংকের বক্তব্য রাকছেন বিশ্বব্যাংক সভাপতি ডেভিড ম্যালপাস

ওয়াশিংটন (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ থাকেনি। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফও উদ্বিগ্ন। ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের স্থানীয় পুঁজিবাজার পুনর্গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করছে। 

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের গভর্নিং বোর্ডের বার্ষিক সভার অধিবেশনে বিশ্বব্যাংক সভাপতি ডেভিড ম্যালপাস একথা জানান।  

বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েদ খাইয়ুম, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভাসহ বিশ্বব্যাংকের সদস্যভুক্ত ১৮৯টি দেশের প্রতিনিধিরা এ সভায় অংশ নেন।

বিশ্বব্যাংক সভাপতি বলেন, কঠোর পরিশ্রম, নেতৃত্ব ও পরিষেবার জন্য আমরা প্রস্তুত। ইউরোপ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চতর শুল্কবাধা, হতাশা ও যুদ্ধের ফলে এক দশক ধরে বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। আমরা সবার জন্য কারিগরি শিক্ষা, প্রযুক্তিগত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে চাই।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি মরজেন্টাউ বলেন, নতুন বৈশ্বিক ব্যবস্থাটি দু’টি ধারণার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। প্রথমত, সমৃদ্ধির যেখানে কোনো সীমা থাকবে না। দ্বিতীয়ত, বিস্তৃতভাবে সমৃদ্ধি এমনভাবে ভাগ করতে হবে যেন সবাই উপকৃত হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘গতিশীল বিশ্ব অর্থনীতির’ জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। যেখানে প্রতিটি জাতির লোক যেন তাদের নিজস্ব জীবনযাত্রার মান বাড়ানো ও ক্রমবর্ধমানভাবে সব অগ্রগতির ফল উপভোগ করার সুযোগ পান। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  

পরে সভাপতি ম্যালপাস বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর উৎপাদনমূলক কাজের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছি। মিশর, ইথিওপিয়া, মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিকও অবদান রাখছে। উন্নত নীতি, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং সবার জন্য উচ্চতর জীবনযাত্রার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। দ্রুত অগ্রগতি উৎসাহিত করতে আগামীতে ভারত, পাকিস্তান, মেক্সিকো ও চীন পরিদর্শন করার প্রত্যাশা করছি।

ডেভিড ম্যালপাস বলেন, শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখেছি, তাদের চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে ধারণা নিয়েছি। সবার একই প্রত্যাশা- উন্নত জীবন, চাকরি ও আয়ের উৎসাহ বাড়িয়ে দেওয়া। এসব খাতে আমরা আরও কাজ করবো। নানা সংস্কারের জন্য সবাইকে একসঙ্গে উৎসাহিত করতে হবে।

বিশ্বব্যাংক সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাংক গ্রুপে একটি পূর্ণাঙ্গ আপডেট উপস্থাপন করতে চাই। এটিতে সাম্প্রতিক বিষয়গুলোকে সংযুক্ত করেছি। এর আগে পিটারসন ইনস্টিটিউটে দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বর্ণনা দিয়েছি। যা বিশেষত ইউরোপে দৃশ্যমান, পাশাপাশি বাণিজ্য ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, স্বল্প বিনিয়োগের হার এবং স্বল্প উন্নয়নের বিষয়ে কথা বলেছি।  

‘আমরা নানা উন্নয়ন, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন ও বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণের বিষয়গুলো অনুধান করি। ক্রেডিট, গ্যারান্টি, অনুদান, ইক্যুইটি বিনিয়োগ, বিমাসহ বিভিন্ন পণ্যাদির মাধ্যমে কার্যকরভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।