ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক। ছবি: বাংলানিউজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার আগে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের যে রপ্তানি আদেশ দিয়েছিলেন সেসব আটকে পড়া পেঁয়াজ আসা শেষের পথে। 

২৯ সেপ্টেম্বরের আগে রপ্তানি আদেশপ্রাপ্ত যেসব পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ভারতের মহদীপুর স্থলবন্দরে আটকে ছিল সেগুলো মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যে আসা শেষ হয়ে যাবে। এর পর আরেক দফা পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

দেশীয় পেঁয়াজ ওঠার আগ পর্যন্ত আর পেঁয়াজের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেয় বলে অভিমত এসব ব্যবসায়ীদের।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার আগে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ শতাধিক ট্রাক পেঁয়াজ এলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে যেসব পেঁয়াজের রপ্তানি আদেশ ছিল সেগুলোর মধ্যে ২১টি ট্রাক পেঁয়াজ ভারতের মহদীপুর বন্দরে এখনো আটকে আছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৫টি ট্রাক প্রবেশ করেছে। বাকি ১৬টি ট্রাক আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রবেশ করলেই এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যাবে।

পানামার পোর্ট ম্যানেজার মইনুল ইসলাম জানান, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আগে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অর্ডার দেওয়া পেঁয়াজের মধ্যে গত ৭ দিনে ১৬৭ ট্রাক পেঁয়াজ ভারতের মহদীপুর স্থলবন্দর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।  

এর মধ্যে রোববার মহদীপুর স্থলবন্দর থেকে ২৩, সোমবার ৩১, মঙ্গলবার ২৯, বুধবার ৩০, বৃহস্পতিবার ২৫, শনিবার ২৫ ও রোববার ৪ সোমবার ৯ এবং মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ সোনামসজিদ বন্দরে প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে চাহিদামত পেঁয়াজ না আসায় সোনামসজিদ বন্দর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা করে। যদি এ বন্দর দিয়ে পুরোপুরি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, তবে এ পণ্যটির দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানান, শর্তানুয়ায়ী ভারত থেকে আর মাত্র ১৬ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে। এরপর পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে। তবে দেশের বাজারে পেঁয়াজ উঠে গেলে আবার ভারত সরকারও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে।

অপরদিকে মহদীপুর স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোশিয়েশনের ভুপতি মণ্ডল জানান, ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে এলসি করা যে সমস্ত পেঁয়াজ মহদীপুরে আটকা পড়েছিল তা পর্যায়ক্রমে আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে আসা শেষ হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।