ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে ইলিশ আসায় কমেছে সব মাছের দাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৯
বাজারে ইলিশ আসায় কমেছে সব মাছের দাম ডালা ভরা ইলিশ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দীর্ঘ ২২ দিন ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময় গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) ১২টায় শেষ হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর রাজধানীর বাজারে ইলিশ এসেছে, দাম রয়েছে সাধ্যের মধ্যেই।

এদিকে, বাজারে ইলিশের আগমনে কমেছে অন্য মাছের দাম। এসব মাছও কেজিপ্রতি ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নিম্নমুখী রয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), রামপুরা কাঁচাবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার, মালিবাগ রেলগেট কাঁচাবাজার এবং খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে তিন পিসে কেজি এমন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।

ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়ের আগ মুহূর্তে এসব বাজারে এক কেজি ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে, ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে, ৫০০ গ্রাম প্লাস ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে তিন পিসে কেজি এমন ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে আর জাটকা ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে।

ইলিশ মাছের আগমনে কমেছে অন্য সব মাছের দাম। মাছ ভেদে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বাজারের সব মাছের দাম। এ সব বাজারের প্রতিকেজি (আকার ভেদে) রুই (বার্মিজ) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি রুই ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কই ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কেজিপ্রতি শিং ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৪০০ থেকে ৬৫০, বাইন মাছ (দেশি) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, বাইন মাছ (নদী) ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাইলা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মলা ২২০ থেকে ২৮০, পুঁটি (দেশি) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে মালিবাগ বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা মো. আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, অন্য বছরের এ সময় ইলিশের দাম বেশ চড়া থাকে। এবার ইলিশের আগমন ঘটলেও দাম ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। তার মতে, বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম হলেও বিক্রির পরিমাণ না বাড়ায় দাম কমেছে। পাশাপাশি বাজারে ইলিশের আগমনে কমেছে অন্য সব মাছের দামও।

একই বাজারের ক্রেতা খালেদা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ইলিশের দাম দেখে কমই মনে হচ্ছে। বাজারে ইলিশ এসেছে অনেক ক্রেতা হয়তো এখনও জানতে পারেনি। তাই তারা কিনছেন না। এ জন্য হয়তো দাম কম। তবে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রয়েছে তারা হুট করেই মাছের দাম বাড়ায়-কমায়। তবে এমন বাজার থাকলে সব শ্রেণীর ক্রেতার জন্যই ভালো।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।