ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে সবজি-মুরগি-ডিমের দাম, নাভিশ্বাস পেঁয়াজে

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৯
কমেছে সবজি-মুরগি-ডিমের দাম, নাভিশ্বাস পেঁয়াজে

ঢাকা: কয়েক মাস ধরেই সবজির দাম নাগালের বাইরে চলে যায় যায় অবস্থা, তবে গত বেশ কিছু দিন ধরেই স্বস্তি দিচ্ছে সবজির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। একইসঙ্গে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দামও। ডজনপ্রতি ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত, তবে অপরিবর্তিত আছে গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম। অন্যদিকে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আমদানি ও দেশি পেঁয়াজ। এর সঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে বিভিন্ন আদা ও রসুন। 

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), রামপুরা কাঁচা বাজার, মালিবাগ কাঁচা বাজার, মালিবাগ রেলগেট কাঁচা বাজার এবং খিলগাঁও কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিকেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, শসা (প্রকারভেদে) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ক্ষিরা (শসা) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পেঁয়াজের দামে এখনো আগুনএছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, জালি কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির সঙ্গে কমেছে শাকের দামও। বাজারে প্রতি আঁটি লাল শাক ৭ থেকে ১০ টাকা, মূলা শাক ৮ থেকে ১২ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কুমড়ার শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কচু শাক প্রতি আঁটি ৫ থেকে ৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম প্রসঙ্গে মালিবাগ রেলেগেট কাঁচা বাজারের বিক্রেতা মো. মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচা বাজারের দাম সবসময় এক থাকে না। বাজারে মালামাল বেশি হলে দাম কমে, আবার ঘাটতি থাকলে দাম বেড়ে যায়। এখন দাম কমার কারণটা হলো শীতের সব সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। পুরোদমে বাজারে সবজি এলে দাম আরও কমে যাবে।

এদিকে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের পেঁয়াজ। বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ (মোটা) ১৩০ টাকা এবং মিশরীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। প্রতিকেজি কাঁচা আদা (আমদানি) ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি আদা ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর দেশি রসুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। কমেছে সব ধরনের মুরগির দামপেঁয়াজের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা হাসিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পূজার পর থেকে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে পাওয়া যায়নি। যার যার আড়তে ছিল তা বাড়তি দামে বিক্রি করেছেন তারা। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজের ঘাটতিও রয়েছে বাজারে। এ কারণে হয়তো পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি দাম, এজন্য খুচরা বাজারেও দাম বেশি। একই সঙ্গে আদা-রসুনও বাজারে কম আছে। পেঁয়াজ আমদানির সঙ্গে আদা-রসুন এলে এগুলোর দামও কমে যাবে।

তবে বাজারে কমেছে সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম। এসব বাজারে কেজিতে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা, লেয়ার (লাল) মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, লেয়ার (সাদা) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। অপরবর্তিত আছে গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে, খাসি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে।

কমেছে ডিমের দামও। ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার (লাল) ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, সাদা ডিম ১০০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। এছাড়া অপরবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
ইএআর/এইচএ/

** বাজারে ইলিশ আসায় কমেছে সব মাছের দাম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।