ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরবরাহ বেশি থাকায় কমেছে ইলিশের দাম

মুশফিক সৌরভ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
সরবরাহ বেশি থাকায় কমেছে ইলিশের দাম আড়তে ইলিশের স্তূপ

বরিশাল: ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর বরিশালের পোর্ট রোডের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে প্রচুর ইলিশের আমদানি শুরু হয়েছে। গত দুইদিনে সাড়ে পাঁচ হাজার মণেরও বেশি ইলিশ এসেছে পোর্ট রোডের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তে। ইলিশের কারণে অনেকটাই কমে গেছে অন্যান্য মাছের কদর। ফলে দাম কমের প্রভাব পড়েছে সেসব মাছেও।

আর নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশের আমদানিকে ঘিরে এখন পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত রয়েছে পোর্ট রোড। ইলিশের প্রচুর সরবরাহ থাকায় দামও অনেকটাই হাতের নাগালে।

মৎস্য আড়ৎ ঘুরে জানা গেছে, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে স্থানীয় নদ-নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে বরিশালের মোকামে ইলিশ নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। এখানে কেজির ঊর্ধ্বে প্রতিমণ ৩৮ হাজার টাকা, কেজি সাইজের প্রতিমণ ৩০ হাজার, ৬শ থেকে ৯শ গ্রাম (এলসি) ২৫ হাজার এবং ৫শ গ্রাম সাইজের প্রতিমণ ইলিশ ১৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে শুক্রবার (০১ নভেম্বর)। আর এর থেকে ছোট গোটলা সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১২ হাজার এবং ঝাটকা বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ হাজার টাকায়। যদিও এ দুটি সাইজের ইলিশের পরিমাণ বাজারে খুবই কম রয়েছে। এদিকে আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাজারে আরো ১ থেকে ২ হাজার টাকা করে কেজি প্রতি ইলিশের দর কম ছিলো।

বরিশালের মৎস্য আড়তদার হুমায়ুন জানান, নিষেধাজ্ঞার পর সরবরাহ বেশি থাকায় বছরের সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তবে গত বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার প্রতি কেজি ইলিশের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। আর শনিবার (০২ নভেম্বর) গতকালের দরেই এখন পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

পোর্ট রোডের ইলিশ ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, বাজারে প্রচুর ইলিশ রয়েছে, আর অন্যান্য সময়ের তুলনায় দর অনেক কম। ফলে ইলিশ কেন্দ্রীক বাজারে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে।   

বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল জানান, মাত্র দুইদিন হলো নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় নদীর ইলিশ আসা শুরু হয়েছে। তবে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা ফিরে এলে ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন বাজার দর ওঠা-নামা করতে পারে।

বরিশাল আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত কুমার দাস বলেন, ইলিশের সরবরাহ প্রচুর। নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম দিন এত পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ার রেকর্ড এটি। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি। ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকায় কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

বরিশাল জেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা (হিলসা) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, মৎস্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার জেলেরা মাছ শিকার থেকে বিরত থাকায় অনেক মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে। তবে এই সময়ে ইলিশ ধরা না হলে সমুদ্রে চলে যাবে। অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি এবারেও ইলিশ আহরণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।