ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসএমই খাতের বিকাশে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ইউনিডো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৯
এসএমই খাতের বিকাশে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ইউনিডো

ঢাকা: বাংলাদেশে টেকসই ও দক্ষ এসএমই শিল্পখাতের বিকাশে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) কারিগরি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার মহাপরিচালক লি ইয়াং।

তিনি বলেন, এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত (এসএমই) ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এসএমইখাত জাপানের জিডিপিতে ৬৯ দশমিক ৫ শতাংশ, চীনে ৬০ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ অবদান রাখছে।

ইউনিডো’র ১৮তম সাধারণ সম্মেলন উপলক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফররত শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান লি ইয়াং।

শনিবার (২ নভেম্বর) আবুধাবির এমিরেটস প্যালেস হোটেলে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আবু জাফর, আবুধাবিতে অবস্থিত ডেপুটি চিফ অব মিশন মিজানুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ ইউনিডো’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইউনিডোর সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

এসময় ইউনিডোর মহাপরিচালক লি ইয়াং বাংলাদেশে ভারী ধাতব ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় গৃহীত দু’টি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের গৃহীত কর্মসূচির প্রশংসা করেন। গুণগত শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ইউনিডোর সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশে গুণগত শিল্পায়নে ইউনিডোর সহায়তার জন্য মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইউনিডোর কারিগরি সহায়তায় পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের পথে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে ইউনিডো মহাপরিচালকের বাংলাদেশ সফর এবং সাভার ট্যানারি শিল্পনগরী পরিদর্শনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।

একইসঙ্গে চামড়াশিল্পের খাতকে বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পখাত হিসেবে উল্লেখ করে তিনি পরিবেশবান্ধব চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ইউনিডোর কারিগরি সহায়তা কামনা করেন।

এর আগে শিল্পমন্ত্রী এলডিসি’র আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও উচ্চ প্রতিনিধি মিজ ফেকিটামোয়েলোয়া উটিকামানুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মিজ উটিকামানু সাফল্যের সঙ্গে এলডিসি গ্রাজ্যুয়েশনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ অর্জন এলডিসিভুক্ত অন্য দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা হবে। বাংলাদেশকে মডেল হিসেবে অনুসরণ করে এলডিসিভুক্ত অন্য দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে এগিয়ে যাবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটালেও বাংলাদেশ সব সময় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্পায়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে যৌথ প্রয়াস অব্যাহত রাখবে। তিনি এ অভিযাত্রায় জাতিসংঘ প্রযুক্তি ব্যাংকের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন।

পরে মন্ত্রী একইস্থানে জাতিসংঘ প্রযুক্তি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোশুয়া ফোহো সেতিপার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের অষ্টম সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন এবং ‘ইনোভেশন ইন পার্টনারশিপস অ্যান্ড ফান্ড মোবিলাইজেশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।