ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ ফাইল ছবি

ঢাকা: গত চার মাস ধরে বাজারে উঠা-নামা করছে পেঁয়াজের দাম। এ সময়ের মধ্যে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ক্রেতাদের কিনতে হয়েছে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা দামে। তবে এখন তা কমে বাজারভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। 

দাম কিছুটা কমলেও তা পর্যাপ্ত না বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, ফকিরাপুল, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, খিলগাঁও রেলগেট কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এসব বাজারে দেখা যায়, বাজারভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি আমদানি করা ভারতীয় (বড়) পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ (ছোট) প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি সব ধরনের পেঁয়াজে ১০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজে দাম কমলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।

খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা হাসিবুল বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরাতে কমবে। সেখানে কিছুটা দাম কমায় খুচরাতেও দাম করতে শুরু করেছে। তবে আদমানি করা পেঁয়াজ দেশের বাজারে এলে দাম কমে যাবে।

আরিফা নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের কেজি যেখানে ১৪০ ছুঁই ছুঁই সেখানে ১০ টাকা কম কোনো দাম কমার মধ্যে পড়ে না। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিনিয়ত বাজারে আসছে। নতুন ভাবে আমদানি করা হচ্ছে, তাহলে দাম কেন কমবে না?। তার মতে, বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

এদিকে, সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি ট্রাকসেলে অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকসেলে বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করলোও মসলা জাতীয় অন্য পণ্য আদা-রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। চায়না রসুন ১৫০ টাকা, দেশি আদা ১৭০ টাকা, চায়না আদা ১৬০ টাকা, প্রতিকেজি কাঁচা আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া, রান্নায় অতি আবশ্যিক কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। বর্তমানে বাজারে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রান্নার নিত্য এ পণ্যটি।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।