ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএপি সারে প্রতি কেজিতে দাম কমছে ৯ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
ডিএপি সারে প্রতি কেজিতে দাম কমছে ৯ টাকা

ঢাকা: ডিলার এবং কৃষক পর্যায়ে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম প্রতি কেজি ৯ টাকা করে কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে প্রতি কেজি ১৬ টাকা। আগে যা ছিল ২৫ টাকা।

আর ডিলার পর্যায়ে প্রতি ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা করা হবে। যা চলতি ডিসেম্বর মাসেই কার্যকর হবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কৃষি সচিব নাছিরুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ লাঘবের উদেশ্যে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থাপন করলে তিনি সারের দাম কমানোর প্রস্তাবে অনুমোদ দেন। যা বিজয়ের মাসে সরকারের এ পদক্ষেপ কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মোতাবেক সব পর্যায়ে (অর্থাৎ ডিলার এবং কৃষক পর্যায়ে) ডিএপি সারের দাম প্রতিকেজি ৯ টাকা কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারের। প্রতি বছর সরকার ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।  

আবদুল রাজ্জাক বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ হ্রাস, সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ, কৃষিক্ষেত্রে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ডিএপি সারের মূল্য পুনরায় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন ( অ্যামোনিয়াম ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট ( অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ P205) রয়েছে। ফলে এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া ও টিএসপি উভয় সারের সুফল পাওয়া যায়। ফলে ইউরিয়া ও টিএসপি সারের ব্যবহার হ্রাস পেয়ে অর্থ ও শ্রম উভয়ের সাশ্রয় হয়। ডিএপি সারের দাম কমায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে সারের দাম এক টাকাও বাড়েনি। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় নন-ইউরিয়া সারের মূল্য অস্বাভাবিক বেশি থাকায় কৃষকের পক্ষে সার ব্যবহার করে ফসল ফলানো কষ্টসাধ্য ছিলো। কিন্তু বর্তমান সরকার দফায় দফায় কমিয়েছে। ২০০৯ সালে টিএসপি সারের দাম ছিলো প্রতিকেজি ৮০ টাকা, ২০১৪ সালে এটি কমিয়ে ২২ টাকা করা হয়। ২০০৯ সালে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সারের দাম ছিলো ৭০ টাকা, ২০১৪ সালে তা কমিয়ে ১৫ টাকা করা হয়। এছাড়া ২০০৯ সালে ডিএপি সারের দাম ছিলো ৯০ টাকা, ২০১৪ সালে তা কমিয়ে ২৫ টাকা করা হয়। চলতি মৌসুমের এ ডিসেম্বরে খুব শিগগির ডিএপি সারের দাম ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটির সব ধরনের অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন শুধু সার্কুলার জারি করা বাকি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।