ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রয়োজন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
‘কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রয়োজন’ সেমিনারে বক্তারা। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: সিরামিক সেক্টরের টেকসই উন্নয়নে মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়নে ওপর জোর দিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। দেশের সম্ভাবনাময় এ খাতকে এগিয়ে নিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এতে উৎপাদন বাড়ে ও পণ্যের মান নিশ্চিত হয়।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯’র শেষ দিনে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য ৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

গত ১০ বছরে এ খাতে ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ২শ শতাংশ। আগামীতে বাংলাদেশে যে ক’টি খাত রপ্তানি আয়ে বড় ভূমিকা রাখবে, তার মধ্যে সিরামিক অন্যতম। এ খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব। তাই দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও পণ্যের মান বাড়ানোর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন আলোচকরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসাইন বলেন, সরকার দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে অবশ্যই মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রয়োজন। সিরামিকখাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আমরা সব ধরনের সহায়তা করবো।

তিনি আরও বলেন, সিরামিক সেক্টরে দক্ষ জনশক্তির জন্য সিরামিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। অনেক আগে একটা উদ্যাগে নেওয়া হয়েছিল তবে, কেন আলোর মুখ দেখেনি। আমরা সিরামিক ইনস্টিটিউট করতে উদ্যাগে নেবো। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। সেখানে প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সিরামিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। বক্তব্য রাখছেন ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসাইন।  ছবি: রাজীন চৌধুরীবক্তারা বলেন, এসডিজি অর্জনের অন্যতম ধাপ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন। সিরামিক সেক্টর রাইজিং খাত। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে উচ্চ শিক্ষায় সিরামিক বিভাগ খুলতে পারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফেকচারিং এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবিএম খোরশেদ আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিটিইবির চেয়ারম্যান মুরাদ হোসাইন মোল্লা, বিআইজিসির প্রিন্সিপাল মো. আইয়ুব আলী, আইএলও’র চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার কিশোর কুমার সিংহ।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিভিইটির ন্যাশনাল কনসালটেন্ট টিআইএম নুরুন্নবী খান। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিটিইবির উপ-পরিচালক এস এম শাহজাহান, মিরপুর সিরামিকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান আবুল হাশেম মজুমদার, আইএলও’র এএনএম তানজিল আহসান ও টিভিইটির এক্সপার্ট রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।