ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বসুন্ধরা পেপারের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
বসুন্ধরা পেপারের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ঢাকা: শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেড।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে ২৬ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়।  
 
সভায় স্বাগত ও সভাপতির বক্তব্য দেন কোম্পানির উপদেষ্টা এ আর রশিদী।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিশ্র অর্থনীতির উন্নয়নশীল দেশ। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশে-বিদেশে নানা ধরনের বাধা বিপত্তি পেরিয়েও বাংলাদেশ অতি দ্রুত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
 
‘১৯৮০ সালের পর থেকে দেশে বেসরকারি উদ্যোগে কাগজ উৎপাদন কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কাগজের বাজারে বিস্তৃতি লাভ করেছে। বেসরকারি খাতে প্রথম রিসাইক্লিং কাগজের কল স্থাপন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ’
 
বসুন্ধরা পেপারসের উপদেষ্টা এ আর রশিদী বলেন, দেশে একশটির মতো পেপার মিল থাকলেও চালু রয়েছে ৪০টির বেশি। কাগজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে এসব কারখানা নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও কাগজের বাজারের ৩০ শতাংশ ধরে রেখেছে বসুন্ধরা পেপারস। রপ্তানি হচ্ছে ২৩টির বেশি দেশে।
 
তিনি বলেন, দেশে মোট ১৫ লাখ টন কাগজ উৎপাদন কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলের তিনটি ইউনিটে মানসম্পন্ন কাগজ ও কাগজ পণ্য উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানো হচ্ছে।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।  ছবি: শাকিল/বাংলানিউজ‘২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে টয়লেট পেপার, ফেসিয়াল টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ উৎপাদন সক্ষমতা বছরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বেড়েছে। এর আগে দেশে প্রতিমাসে টিস্যু পেপারের চাহিদা ছিল ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। বসুন্ধরা পেপার মিল এই চাহিদার ৭৫ শতাংশ পূরণ করেছে। ’

বসুন্ধরা পেপার মিলের কাগজ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের বই ছাপানোর কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  
 
অনুষ্ঠানের সভাপতি এ আর রশিদী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানির পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহের অপ্রতুলতা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি, শ্রমের মজুরি বৃদ্ধি, কাগজের মূল উপাদানের দাম বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার দামের তারতম্য. পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে উৎপাদনের ব্যয় বিগত বছরের চেয়ে বেড়েছে।
 
বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থিত ছিলেন- কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, কোম্পানির পরিচালক মো. ইমরুল হাসান, নাজমুল আলম ভূঁইয়া ও মো. আবু তাইয়েব, উপদেষ্টা ময়নাল হোসেন চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব হায়দার খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, কোম্পানি সচিব এম নাসিমুল হাই, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম এবং মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল হাসানসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকরা।
 
২৬ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৮-১৯ সালে কোম্পানির বার্ষিক বিবরণী, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণী ও প্রতিবেদনসমূহ অনুমোদিত হয়।  

একই অর্থবছরে কোম্পানির উদ্যোক্তারা, পরিচালক ও প্রাক প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী শেয়ারহোল্ডাররা ছাড়া সব সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার  প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে সভায়।  
 
প্রতিকূলতা স্‌বত্ত্বেও আলোচ্য বছরে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা কোম্পানির সাফল্যের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন শেয়ারহোল্ডাররা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।