ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে ৬ লাখ নলকূপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে ৬ লাখ নলকূপ

ঢাকা: সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনমান উন্নয়ন করবে সরকার। এই লক্ষ্যে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৯৯টি গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।


 
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন।    
 
‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। জাতীয় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন নীতিমালা ১৯৯৮ অনুযায়ী সমগ্র দেশের পল্লী এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ পানির উৎস স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৯০ হাজার ৬৩৬টি অগভীর নলকূপ ও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৭৭টি। এছাড়া  সাবমার্সিবল পাম্প ও জলাধারসহ অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে ২ লাখ ৬ হাজার ৬৬৪টি এবং সাবমার্সিবল পাম্প ও জলাধারসহ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে ১ লাখ ৭০ হাজার ২২২টি।
 
এছাড়া ৩ হাজার ৩৭৯টি রিংওয়েল, ৩ হাজার ২১০টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ইউনিট, রুর‌্যাল পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম ৪৯১টি স্থাপন করা হবে। ৩২০টি সোলার এবং ২৯ হাজার ৫৭০টি আর্সেনিক আয়রন রিমোভাল প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। আর কমিউনিটিভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপন করা হবে ৮ হাজার ৮৩৮টি। সে সঙ্গে ১২টি উপজেলার অফিস ভবনও নির্মাণ করা হবে।  

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এতে জনস্বাস্থ্য সার্বিকভাবে উন্নীত হবে। বর্ণিতাবস্থায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বেশি করে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদেরকে আরও বেশি করে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আরও বেশি করে নদী-নালার পানি বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে ভূগর্ভস্থ পানি বেশি না উঠাই। কারণ, অনেক বিশেষজ্ঞদের ভীতি আছে যে, পানির স্তর সম্ভবত নেমে যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।