ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাহাড়ে চালু হচ্ছে ৪৯ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
পাহাড়ে চালু হচ্ছে ৪৯ কোটি টাকার সেচ প্রকল্প

ঢাকা: পাহাড়ে সেচ সুবিধার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প বাস্তিবায়িত হলে উপত্যকায় আউশ-আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সেচ সুবিধার ফলে পাহাড়ে আর বর্ষা নির্ভরতা থাকবে না। উপত্যকার ৫ শতাংশ জমিতে বছরে দুই থেকে তিন বার আউশ-আমন ধান চাষ করা যাবে।

পাহাড়ের অধিকাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। প্রচুর উর্বর জমিও আছে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে সবজি, ধান, ভুট্টা, কলা, পেঁপে, লেবু, পেয়ারা, আনারসসহ বিভিন্ন ফল ফসল উৎপাদন হয়। কিন্তু সেচ সুবিধা না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে বিভিণ্ন ফসল উৎপাদন করা য়ায় না।  

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ের ৯ হাজার একর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আনা হবে। এর ফলে কৃষি নির্ভর অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে মনে করে সরকার।  
 
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সেচ ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। পাহাড়ে ২৫ হাজার ৯০৬ দশমিক ৭৪ মিটার সেচ ড্রেন নির্মাণ করা হবে। শেডসহ ১০টি সেচ পাম্প স্থাপন করার পাশাপাশি কৃষকদের ১০টি পাওয়ার টিলার বিতরণ করা হবে।
 
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মোট আয়তন ২ হাজার ৭৪৯ বর্গ কিলোমিটার। অন্য দুটি পার্বত্য জেলার তুলনায় এ জেলার লোক সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন মাটিরাঙা ও মানিকছড়ি উপজেলার সমতল ভূমির মতো পাহাড়ের জমিও উর্বর। দুটি উপজেলার অধিকাংশ জনগণ কৃষি নির্ভর। কিন্তু ফল ও সবজি ছাড়া এখানে গ্রীষ্মে ধান উৎপাদন করা হয় না বিধায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষি উৎপাদন সম্ভব হয় না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রীষ্মে ফল-সবজির পাশাপাশি পাহাড়ে মিলবে আউশ-আমন ধান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান (পরিকল্পনা কোষ) কাজী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পার্বত্য কৃষি জমিতে শুধু বর্ষাকালে ধানের চাষ করা হয়। সেচ সুবিধার আওতায় এক ফসলি কৃষি জমিতে বছরে দুই থেকে তিন বার আউশ-আমন চাষ সম্ভব। খাগড়াছাড়ির উপত্যকায় ধানের উৎপাদনও ভালো হবে। মাটির নিচ দিয়ে উঁচু পয়েন্টে ও নিচু পয়েন্টে ড্রেনের মাধ্যমে পানি নিয়ে যাওয়া হবে। বেশি উঁচু পাহাড়ে পানির ট্যাংক স্থাপন করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।