ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্যমেলায় ১১ দিনে ভোক্তার অভিযোগ ৫টি, একটিতে জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
বাণিজ্যমেলায় ১১ দিনে ভোক্তার অভিযোগ ৫টি, একটিতে জরিমানা জরিমানা করা হয়েছে একটি কসমেটিক্স প্যাভিলিয়নকে। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: প্রতিবারের মতো এবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভোক্তার অধিকার আদায়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দিনে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আবার ভোক্তার অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়েও সরাসরি কাজ করছে সংস্থাটি।

এখন পর্যন্ত ১১ দিনে ভোক্তার কাছ থেকে পাঁচটি অভিযোগ এসেছে বাণিজ্যমেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অস্থায়ী কার্যালয়ে। এর মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সমঝোতা হয়েছে চারটি এবং জরিমানা করা হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

এছাড়া অধিদপ্তর থেকে আটটি অভিযান পরিচালনা করে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

বাণিজ্যমেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অস্থায়ী কার্যালয়।                                          ছবি: জিএম মুজিবুর

মেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই হাতের বামপাশে প্রথম স্টলটি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অস্থায়ী কার্যালয়। মেলার শেষ দিন পর্যন্তই থাকছে এটি। মেলায় প্রতিদিন দুই বেলা করে অধিদপ্তরের দু’টি টিম কাজ করছে। সকালে একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে থাকে একটি টিম আর বিকেলে জনসমাগম বেশি হওয়ায় সে সময় দু’জন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে থাকে আরও দু’টি টিম।

ভোক্তা যেকোনো বিক্রেতার কাছ থেকে কোনোভাবে প্রতারিত হলেই এখানে অভিযোগ দিতে পারবেন। অভিযোগ সঠিক হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। জরিমানার ২৫ শতাংশ পেয়ে যান অভিযোগদাতা।

২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এখন পর্যন্ত ভোক্তার কাছ থেকে পাওয়া পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে চারটি উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে। আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিকেলে ভিড় বেশি থাকায় কাজ করে অধিদপ্তরের দু’টি টিম।  ছবি: জিএম মুজিবুর

ভোক্তা অধিদপ্তরের নিজস্ব অভিযানে মূল্য বেশি রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখাসহ বিভিন্ন কারণে মোট আটটি অভিযানে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ধার্য করার চেয়ে বেশি দাম রাখায় একটি প্লাস্টিক কোম্পানিকে ১০ হাজার টাকা, মোড়কের গায়ে ওজন, মেয়াদ, উৎপাদনের তারিখ, ব্যবহারবিধি না থাকায় ২২ নম্বর ফরেন প্যাভিলিয়নকে দুই হাজার টাকা, ৩১ নম্বর কসমেটিক্স প্যাভিলিয়নকে দুই হাজার টাকা, নিউ কাশ্মীরি আচারকে এক হাজার টাকা, ৬৫ নম্বর প্যাভিলিয়নকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ৬৫ নম্বর প্যাভিলিয়নের একটি প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার, স্টার কালেকশনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানি রায় বলেন, মেলা চলাকালীন সকাল-বিকেলে টিম থাকছে। ভোক্তার প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সঠিক হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হচ্ছে। এ জরিমানার ২৫ শতাংশ পাচ্ছেনন অভিযোগকারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
ইএআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।