ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ

ঢাকা: মিমি সদ্য এইচএসসি পাস করে ভর্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ছিলো তার হাজারও স্বপ্ন। সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা এবং স্বাধীনভাবে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা। সেই স্বপ্ন নিয়েই মিমির বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনের যাত্রা শুরু।

প্রকৃতির মোহনীয় পরিবেশ ও পাখির কলরবে প্রথম দিনে ক্যাম্পাসের প্রেমে পড়ে যায় মিমি। মনে আনন্দে উল্লাসিত হয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে চায়ের আড্ডায় মেতে উঠে তিনি।

এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পদচারণা, আড্ডা, গান আর রাজনৈতিক স্লোগানে সবসময়েই জমজমাট থাকে ক্যাম্পাসের দোকানগুলো। তবে শিক্ষার্থীদের এসব চায়ের আড্ডায় যে যার মত যেখানে সেখানে ফেলছে চায়ের কাপ, প্লেট, চিপসের প্যাকেটসহ নানা খাবার। যা দেখে ক্ষণিকেই ভেঙে যায় মিমির মন। শিক্ষার্থীদের এমন অসচেতনতা তাকে ভাবায়, তারা শিক্ষিত হতে পারলেও কী পেরেছে স্বশিক্ষিত হতে?

শিক্ষার একটি আদর্শ স্থান হলো বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের উত্তমরূপে গড়ে তোলে। শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জীবনের পাথেয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ (শ্রেণি কক্ষ, ক্যাম্পাস) যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, তবে সেটা সবার কাছেই দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু বাস্তবে যেন পুরো বিপরীত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান না থাকায় রাস্তার আশপাশসহ যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে আর্বজনা। যা নোংরা ও দূষিত করে তুলেছে পুরো ক্যাম্পাসকে। নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করলেও প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োগ বাস্তবে নেই বললেই চলে। দেখা যাচ্ছে যেখানে সেখানে তারা নিজের ইচ্ছা মতো ময়লা ফেলছে। আবার ক্যাম্পাসে অনিয়ন্ত্রিতভাবে গড়ে ওঠেছে খাবারের দোকান। এমনকি এসব দোকানের খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিবেশনও করা হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসগুলোতে দেখা যায় না ময়লা ফেলার সঠিক ব্যবস্থাপনাও।

এসব দেখে দেখে ক্লান্ত মিমি, তৃতীয় বর্ষ শেষ করে চতুর্থ বর্ষে পা দিয়েছে তিনি। শিক্ষার্থীদের এমন অসচেতনতার দিকে তাকিয়ে মিমি ভাবছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্লাসরুম কেন্দ্রিক শিক্ষা না হয়ে পুরো ক্যাম্পাসকে শেখা আর জানার কেন্দ্রে রূপান্তর করা উচিত। এতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শুধু সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নয় এর বাইরের লোকদের জন্যও নানা বিষয় শেখার কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। তাই এখনই সময় নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কারের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করার।

এজন্যই সম্প্রতি আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লিয়ার বেভারেজ ব্র্যান্ড ক্লেমন ‘ক্লিন ক্যাম্পাস গ্রিন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতায়’ অংশ নিয়েছে মিমি। দিচ্ছে ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখার নতুন সব ধারণা। মিমির মতো যে কেউ চাইলেই এই প্রতিযোগিতায় নিজের ক্যাম্পাস পরিস্কার রাখার আইডিয়া দিয়ে জিতে নিতে পারেন নগদ ১ লাখ টাকা পুরস্কার।

এ প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি ও তথ্যসহ সব কার্যক্রম রয়েছে ক্লেমনের ফেসবুক পেজে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে এই প্রথম এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জনপ্রিয় ক্লিয়ার বেভারেজ ব্র্যান্ড ক্লেমন। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় গড়ে তুলতে পারে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস এবং পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ।

রোববার (১২ জানুয়ারি) আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।