ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘খাদ্য-পুষ্টির চাহিদা পূরণে উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম’

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
‘খাদ্য-পুষ্টির চাহিদা পূরণে উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম’

জাবি: দেশের খাদ্য-পুষ্টির চাহিদা পূরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রচলিত ও অল্প প্রচলিত উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে বার্ষিক বোটানিক্যাল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের মূল চালিকাশক্তি উদ্ভিজ প্রাকৃতিক সম্পদ ও এর সফল টেকসই ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।

নিত্য নতুন টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এ প্রাকৃতিক সম্পদকে জাতির কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। উদ্ভিদরাজি প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ। এ সম্পদসমূহ টিকে থাকলে জীব, জগৎ ও মানুষ বেঁচে থাকবে। ’

বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটি আয়োজিত বার্ষিক বোটানিক্যাল সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল ‘নভেল অ্যাপ্রোচ অ্যান্ড রিসেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন প্লান্ট সায়েন্স’। দিনব্যাপী সম্মেলনে পোস্টার সেশন, প্ল্যানারি সেশন, সায়েন্টিফিক সেশন, বিজনেস সেশনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো উদ্ভিদ। এ প্রাকৃতিক সম্পদের বিস্তার লাভের সঙ্গে আমাদের বেঁচে থাকার সম্পর্ক নিবিড়। বিশ্বের অস্তিত্ব রক্ষাসহ সব মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি মৌলিক চাহিদা মেটাতে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদজাত দ্রব্যের ওপর নির্ভরশীল। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে ও অপরিকল্পিত নগরায়নে অনেক মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হারিয়ে যাচ্ছে কিংবা বিলুপ্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের অধিক সচেতন হতে হবে। ’

সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেড এন তাহমিদা বেগম বলেন, ‘খাদ্য, বস্ত্র, আবাসনসহ অনেক বিষয়ে মানুষকে উদ্ভিদরাজির শরণাপন্ন হতে হয়। বিশ্বায়নের এ সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। অন্যদিকে সভ্যতার বাড়তি চাহিদা মেটাতে শিল্পায়ন ও নগরায়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কোনো গবেষণা শুরু করার আগে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে ফলপ্রসূ সংলাপ শুধু যে কাম্য তাই নয়, তা গবেষণা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ণয় ও সমস্যা সমাধানের পন্থা উদ্ভাবনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন, সাংগঠনিক সভাপতি অধ্যাপক ড. ফিরোজা হোসেন, বিবিএসের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আবদুল গফুর, সাংগঠনিক সচিব অধ্যাপক ড. এম মাহফুজুর রহমান ও উদ্ভিদবিজ্ঞানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নুহু আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।