ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনায় ব্যাংকিং খাতে লেনদেন বিলম্বের আশঙ্কা এফবিসিসিআই’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
করোনায় ব্যাংকিং খাতে লেনদেন বিলম্বের আশঙ্কা এফবিসিসিআই’র এফবিসিসিআইয়ের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় এক মাসের মতো আমদানি-রফতানিতে বিঘ্ন ঘটায় ব্যাংকিং খাতে লেনদেন বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কার কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

এ অবস্থায় আমদানি-রফতানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য ঋণপত্র সহায়তা ও ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্যাংকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র সরবরাহে তাদের একাউন্ট ক্লাসিফাইড হওয়ার কারণে যাতে এডিশনাল চার্জ, ইন্টারেস্ট পেনালাইজড না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান শেখ ফজলে ফাহিম।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীনের মোট বাণিজ্য প্রায় ১৪.৬৮ বিলিয়ন ডলারের। পোশাক খাতে বিশেষ করে ওভেন খাতের কাঁচামালের ৬০ শতাংশ আসে চীন থেকে। অন্যদিকে নীট খাতে আসে প্রায় ২০ শতাংশ কাঁচামাল। এছাড়া অন্য অনেক শিল্পে কাঁচামালের প্রধান উৎস চীন। করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের অর্থনীতির ম্যানুফ্যাকচারিং ভ্যালু চেইনের ৮০ শতাংশের মতো প্রায় এক মাস স্থগিত ছিলো। এসময়ে খুব সামান্য পরিমাণ শিপমেন্ট হয়েছে। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে ২৪ ফেব্রুয়ারির পর শিপমেন্ট হবে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। যে সব ঋণপত্র আগেই খোলা ছিলো সেগুলো জাহাজিকরণ ও ডকুমেন্টস পাওয়ায় জটিলতা দেখা দিচ্ছে। নতুন ঋণপত্র খোলাও কমে গেছে। এ কারণে পোশাক খাত, প্লাস্টিক, চামড়া, ইলেকট্রনিক, মেডিক্যাল সামগ্রী, কম্পিউটার, যোগাযোগসহ সব খাতে স্বাভাবিক সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ৬.৭২ লাখ টন পণ্য এসেছে অথচ ২০১৯ সালের একই সময় এর পরিমাণ ছিলো ৮.৫১ লাখ টন, ২০১৮ সালে ছিলো ৮.৮২ লাখ টন।

সংবাদ সম্মেলনে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণপত্র খোলা আছে কিন্তু শিপমেন্ট হচ্ছে না বা শিপমেন্টে সময় লাগছে, তাদের অন্য কোনো উৎস থেকে আমদানির সুযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে এলসি লিমিটের বাইরে গিয়ে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

সবার সহযোগিতায় এ অচলাবস্থা শিগগিরই কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ পর্ষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
ইএআর/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।