ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৭০০ স্টার্টআপ নিয়ে বেইজলাইন জরিপের যাত্রা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
৭০০ স্টার্টআপ নিয়ে বেইজলাইন জরিপের যাত্রা শুরু কর্মশালায় ফটোসেশন।

ঢাকা: দেশের স্টার্টআপদের নিয়ে একটি বেইজলাইন জরিপের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) আওতাধীন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া)।

বুধবার (১১ মার্চ) জরিপ উপলক্ষে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। জরিপে কাজ করার লক্ষ্যে ৩০ জনেরও বেশি কর্মজীবী এবং অভিজ্ঞ তথ্য সংগ্রাহকগণ এই কর্মশালায় অংশ নেন।

দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এই জরিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার অনুরোধ করেন। প্রায় তিন মাসব্যাপী এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার পর যে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবে তা সত্যিই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে সুগঠিত করতে সহোযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ আইডিয়া প্রকল্প থেকে এবারই প্রথম এই ধরনের স্ট্র্যাটেজিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ স্টার্টআপদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও অনুষ্ঠানে আশাবাদী তিনি।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব বলেন, সরকার একটি সুগঠিত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নির্মাণে কাজ করছে। স্টার্টআপদের কল্যানে গ্রহণ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক উদ্যোগ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একটি শক্ত ভিত্তি তৈরির লক্ষ্যে এই ধরনের বেইজলাইন সার্ভে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

কর্মশালার উদ্বোধনীতে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।

তিনি বলেন, এই জরিপের লক্ষ্যে অভিজ্ঞদের নিয়ে একটি উপযুক্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জরিপের পর বর্তমানে বাংলাদেশের স্টার্টআপদের একটি পুরো চিত্র উঠে আসবে। স্বাস্থ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মেডিসিন, মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট, পরিবহন, পর্যটন, লিগ্যাল, আর এম জি সেক্টর, শিক্ষা, অবকাঠামো, ই-কমার্স  বা মার্কেটপ্লেস, আর্থিক সেবা, কৃষি, মিডিয়া ও বিনোদন, ডিজিটাল সেবা, ই-গভর্নেন্সসহ প্রায় ১৭টি সেক্টর এই জরিপের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই সেক্টরগুলো থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৭০০ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে জরিপ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্টার্টআপদের জন্য কি কি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার, আইনগত বিষয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তন বা পরিমার্জন ও সংশোধন জরুরি তা চিহ্নিতকরণ করা সহজ হবে এই সার্ভের মাধ্যমে। সমাজের কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্টার্টআপরা বিশেষ ‘ইম্প্যাক্ট’ রাখতে পারছে তা চিহ্নিতকরণসহ স্টার্টআপদের থেকে বিশেষ রিকমেন্ডেশন ও চ্যালেঞ্জগুলো একত্রিকরণ করে তা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এমন পদক্ষেপ স্টার্টআপদের জন্য একটি বিশেষ ও সুগঠিত ইকোসিস্টেম তৈরিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। চলতি মাস অর্থাৎ ২০২০ এর মার্চের শেষের দিকে মাঠপর্যায়ে জরিপের কার্যক্রম শুরু হবে এবং তিন মাসব্যাপী জরিপটি চলবে। জরিপ চলাকালীন দেশের স্টার্টআপ বান্ধব ইকোসিস্টেম তৈরিতে সব স্টার্টআপদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহোযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের উপ-পরিচালক কাজী হোসনে আরা, প্রকল্পের সিনিয়র পরামর্শক আর এইচ এম আলাওল কবির, প্রকল্পের কমিউনিকেশনস বিষয়ক পরামর্শক সোহাগ চন্দ্র দাস, প্রকল্পের আইন বিষয়ক পরামর্শক আদনীন জেরিনসহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এই জরিপ কার্যক্রমের পার্টনার হিসেবে কাজ করছে বাজার ও সামাজিক গবেষণা সংস্থা ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেড এবং অ্যাড অন কমিউনিকেশনস লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।