ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় সরকার: টিপু মুনশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় সরকার: টিপু মুনশি

ঢাকা: পেঁয়াজ চাষিদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় সরকার। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা দরকার তাই করা হবে।

তিনি বলেন, কৃষকরা যেনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে পারেন আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। যখনই দেখবে তারা এ দাম পাচ্ছেন না।

তখন তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। একইসঙ্গে তিন বছরের মধ্যে আমরা পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চাই।

রোববার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও হটলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, এদিকে বাজারে আমাদের নিজস্ব পেঁয়াজও উঠা শুরু করেছে এমন পরিস্থিতি পেঁয়াজ আমদানিতে কোনো নির্দেশনা দিচ্ছেন কিনা- জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষকদের আগে স্যাটিসফাইড করতে হবে। না হলে আমরা কোনো দিন পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো না।

তিনি বলেন, আমরা মাঠ সার্ভে করেছি। আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন খরচ প্রায় ১৬ থেকে ১৭ টাকা। কেউ বলছে, ১২ টাকা, কেউ বলছে ১৯ টাকা গড় ধরলে হয়। তাই আমরা লক্ষ্য রাখবো কৃষকরা যেনো ২০ থেকে ২৫ টাকা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারে। যখনই দেখবে তারা এ দাম পাচ্ছেন না। তখনই আমরা যেকোনোভাবে সেটাকে রক্ষা করার জন্য যা যা করা দরকার তা করবো।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিদিন শুধু আমাদের মার্কেটই নয়, ভারতের মার্কেটের দিকেও নজর রাখছি। এ মুহূর্তে ভারতের নাসিকের বাজারেও খুচরা পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৩ রূপি। আমাদের দেশেও কিন্তু ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় চলে এসেছে। আমরা পেঁয়াজের বিষয়ে খুবই সিরিয়াস। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশন দিয়েছেন যে আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চাই। তাই আমরা সে লক্ষ্যে আমাদের কৃষকদের সন্তুষ্ট রাখবো।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষ, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য শেখ কবির হোসেনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।