ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুদ না করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
অতিরিক্ত পণ্য কিনে মজুদ না করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্যের মজুদ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এ জন্যই অন্য বছরের তুলনায় এবার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পণ্য বেশি রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পণ্য মজুদ করলে স্বাভাবিক বাজার পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে পারে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে ক্রেতা হিসেবে স্বাভাবিক ক্রয় করলে কোনো ধরনের সংকট তৈরি হবে না৷’

বুধবার (১৮ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব প্রকার পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় জনগণ আতঙ্কিত হয়ে গেছেন।

তারা হঠাৎ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পণ্য কিনছেন। তাই গত দু’দিনে খুচরা বাজারে দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে পাইকারি বাজার কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। কোনো পণ্যে মজুদ-সরবরাহ কম নেই। সুতরাং অতিরিক্ত পণ্য কিনে বাজারে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করবেন না। এবার অন্য বছরের চেয়ে আমদানি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি হয়েছে। কাজেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ’

তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে টিসিবি চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ কম বিক্রি শুরু করেছে। আসন্ন রমজানেও অন্য বছরের তুলনায় ৭ থেকে ১০ গুণ পণ্য নিয়ে মাঠে থাকবে টিসিবি।   চলতি বছরে দেশে ৩ কোটি ৮৭ লাখ মেট্রিকটন চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত অর্থবছরে ভোজ্যতেল আমদানির পরিমাণ ছিল ১৫ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিকটন। বর্তমানে সয়াবিনের বাজারদর ৮৮ থেকে ৯২ টাকা প্রতি লিটার যা বিগত এক মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যে দেশীয় বাজার দর কমে আসবে বলে আশা করা যায়। ’

বিগত অর্থবছরে চালের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৭৪ লাখ মেট্রিকটন। এছাড়া, বর্তমানে সরকারিভাবে ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ মেট্রিকটন চালের মজুদ রয়েছে। চালের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায় এক বছর আগে যে চালের প্রতিকেজি বাজারদর ছিল ৩৮ থেকে ৪২ টাকা বর্তমানে তা ৩৪ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। এক বছর আগে খোলা আটার প্রতিকেজি বাজারদর ছিল ১৭ থেকে ৩০ টাকা বর্তমানে তা ২৬ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গমের আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিগত অর্থবছরে সর্বমোট ৪৬ দশমিক ৪৮ লাখ মেট্রিকটন গম অমিদানি হয়েছিল। এবছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গমের আমদানি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিকটন এবং সরকারি পর্যায়ে মজুদের পরিমাণ ৩ দশমিক ২৬ লাখ মেট্রিকটন। ভোজ্য তেলের ১৮ দশমিক ৬০ লাখ মেট্রিকটন চাহিদার বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১৬ দশমিক ৮৪ লাখ মেট্রিকটন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।