ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনা: বিশ্বব্যাংক গ্রুপ-আইএমএফের সহযোগিতা চান অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
করোনা: বিশ্বব্যাংক গ্রুপ-আইএমএফের সহযোগিতা চান অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের কারণে সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপকে পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, কোনো দেশের একার পক্ষে এরকম একটি দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া সম্ভব নয়। তাই বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং আইএমএফকে বিনীতভাবে অনুরোধ করবো যে, বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে তাদের বৃহত্তর সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।

বুধবার (২৫ মার্চ)  শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সদর দপ্তরের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. ফজলে কবির নিজ দপ্তর থেকে এ কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। করোনা ভাইরাসের কারণে মানব সম্প্রদায়ের জীবন ও অস্তিত্ব হুমকির মুখে। এমন একটি মুহূর্তে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই ভিডিও কনফারেন্স আয়োজনের জন্য বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও আইএমএফ-এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমরা সবাই জড়ো হয়েছি কিছু উপায় এবং পথ খুঁজে বের করে এই পৃথিবীর মানব সম্প্রদায়ের কাছে আশার একটি আলোক প্রদর্শন করার জন্য।

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন যে, এই মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণ অতি দ্রুত ছড়ায়। করোনা সংক্রমণ রোধে এক মরিয়া পদক্ষেপ হচ্ছে অভূতপূর্ব লকডাউন, শাটডাউন এবং যোগাযোগ ব্যাহতকরণ। যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিবার্যভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিশ্ব শেয়ারবাজার ইতোমধ্যে ২৮-৩৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা দীর্ঘকাল স্থায়ী হলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.৫ শতাংশে নেমে যেতে পারে। বাংলাদেশও এর প্রভাব অনুভব করতে শুরু করেছে।  

‘আমরা উদ্বিগ্ন, কোভিড-১৯ সংকট আমাদের অর্থনীতিকে বহুমাত্রিক দিক থেকে আঘাত করতে পারে। ইউরোপ ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউনের কারণে আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা হ্রাসে এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতিকে অনেকটা চাঙ্গা করে রেখেছে। কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন যে ,এই করোনা ভাইরাস মহামারিজনিত কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন বলে রেমিটেন্সের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ১৪ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক তহবিল গঠন করেছে। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর সহায়তার জন্য  ৫০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে আইএমএফ। এই অর্থের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার পাবে স্বল্প আয়ের দেশগুলো। বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ থেকে একটি বড় অংশ সহযোগিতা আশা করছে সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায়।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।