ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সীমান্ত সুরক্ষায় ৭৩টি বিওপি নির্মাণ, একনেকে উঠছে প্রকল্প

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
সীমান্ত সুরক্ষায় ৭৩টি বিওপি নির্মাণ, একনেকে উঠছে প্রকল্প বিজিবির তৎপরতা, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য ৭৩টি আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ করবে সরকার। সীমান্তে অপারেশন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের সুরক্ষিত অবস্থান নিশ্চিত করা হবে এতে।

প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যমান ৪৯টি বিওপি পুনঃনির্মাণ ও নতুন ২৪টি বিওপি নির্মাণসহ মোট ৭৩টি বিওপি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হবে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ ছয় হাজার টাকা। সংশোধিত প্রকল্প মেয়াদ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত থাকবেন। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস বাংলানিউজকে বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৭৩টি কম্পোজিট/আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।

প্যারামিলিটারি ফোর্স হিসেবে বিজিবির প্রধান দায়িত্ব দেশের চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়া। এরমধ্যে ভারতের সঙ্গে চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তার পাশাপাশি মানবপাচার, মাদক ও অন্যান্য চোরাচালান প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তবে এই বাহিনীর মূল অভিযানগুলো সাধারণত বিওপি থেকে পরিচালনা করা হয়। দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিজিবি। যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তবে সীমান্তের কোথাও অরক্ষিত, কোথাও স্পর্শকাতর এবং কোথাও দুর্গম রয়েছে। সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেগবান হবে। এসব বিষয় প্রাধান্য দিয়েই প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।