ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঋণ পরিশোধে বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
ঋণ পরিশোধে বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে সরকার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

ঢাকা: ঋণের কিস্তি পরিশোধে সরকার বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। করোনার জন্যই আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হওয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি শুধু ব্যাংকগুলোর আয় নয়, অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে করা হয়েছে। এখন কোনো না কোনোভাবে কিছু হলে কেউ তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। কিন্তু আমরা এখন বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছি। আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা যদি ভালো থাকে ব্যাংকগুলো ভালো থাকবে।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুস্তফা কামাল।

আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হওয়া থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের ব্যাংকগুলো ক্ষতির মুখে পড়ছে— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা করোনার জন্যই বাড়ানো হয়েছে। আমরা টাকা দিয়েছি টাকা তো মাফ করে দেইনি। টাকা আমরা পাব। কিন্তু সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। সময় না বাড়িয়ে এ সময় যদি আমরা বাধা সৃষ্টি করি তাহলে এক্সপোর্ট অর্ডারগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমরা আমদানি করছি, এখনো এলসিগুলোর নিষ্পত্তি করতে পারব না। বিভিন্ন জায়গায় বাধাগ্রস্ত হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যেই মুহূর্তে লোন ক্লাসিফাইড হয়ে যাবে সেই মুহূর্ত থেকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। এই মুহূর্তে আমরা মনে হয় এটা করা ঠিক হবে না। করোনাকালে তাদের (ব্যবসায়ীদের) সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষই বলছে এমন সিদ্ধান্তের ফলে তাদের আয়ের ওপরে প্রভাব ফেলছে— এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি শুধু আয় নয়, অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে করা হয়েছে। এখন কোনো না কোনোভাবে কিছু হলে কেউ তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু আমরা এখন বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবসায়ীদের পক্ষে আছি। আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা যদি ভালো থাকে ব্যাংকগুলোও ভালো থাকবে। গত বছর প্রত্যেকটি ব্যাংকই ভালো করেছে, তাদের ধন্যবাদ। প্রত্যেকের ব্যালান্স শিট অনেক ভালো। খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমের দিকে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, এটাই সময় তাদের গ্রাহকদের সাহায্য করার জন্য। গ্রাহকগুলো তাদের (ব্যাংকের), সরকারের না। গ্রাহক কোনোভাবে উপকৃত হলে দিনের শেষে লাভবান হবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক তো তাদের কোনো কাস্টমারকে খেলাপি ঘোষণা করে কষ্ট দিচ্ছে না। সুতরাং তাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হওয়া থেকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সেই সুযোগ বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও কোনো ব্যবসায়ীকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না। আবার এই সময়ে ঋণের ওপর কোনো ধরনের দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপও করা যাবে না। তবে যদি কেউ ঋণ শোধ করে নিয়মিত গ্রাহক হন, তাকে খেলাপি গ্রাহকের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।