ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিবন্ধন ছাড়া লবণ আমদানি-গুদামজাতে জেল-জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২০
নিবন্ধন ছাড়া লবণ আমদানি-গুদামজাতে জেল-জরিমানা

ঢাকা: নিবন্ধন ছাড়া কেউ লবণ আমদানি, গুদামজাত, প্রক্রিয়াজাত করে গুণগত মান নিশ্চিত না করলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রেখে আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন-২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  
 
বুধবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইনের মধ্যে ১৩টি অধ্যায় এবং ৫১টি ধারা আছে। এর মূল বিষয়গুলো হচ্ছে একটি জাতীয় লবণ কমিটি হবে এবং তারা লবণের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুদ, বিক্রি, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, লবণ কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা নীতির বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। ’ 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাতীয় লবণ কমিটির সভাপতি হবেন। সদস্য সচিব হবেন বিসিক চেয়ারম্যান। ১৪ জনের একটি কমিটি হবে। জাতীয় লবণ কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী অন্য কার্যক্রম পরিচালনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল থাকবে। তারা এটাতে মনিটর করবে। জাতীয় মান মাত্রা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ থেকে ৫০ পিপিএম এবং খুচরা পর্যায়ে ২০ থেকে ৫০ পিপিএম মাত্রার আয়োডিন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি কোনো প্রকার লবণ আমদানি, লবণ উৎপাদন ও গুদামজাত ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্ত কারখানা স্থাপন বা অন্য কোনো লবণ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা করতে চাইলে তাকে এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত হতে হবে।

‘নিবন্ধন ছাড়া কেউ লবণ আমদানি গুদামজাত ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন বা আয়োডিনযুক্ত কারখানা পরিচালনা করে অথবা এর গুণগত মান নিশ্চিত না হয় তাহলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হবে বা অর্থদণ্ডের বিষয় ৪২ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। অনধিক এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে একঙ্গে। এটি মোবাইল কোট আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২০ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।