ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির উদ্বোধন করলো এনবিআর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২০
স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির উদ্বোধন করলো এনবিআর এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অর্থ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম-টু-এনাবল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস) প্রোগ্রামের অধীন ইমপ্রুভমেন্ট অব পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ডেলিভারি থ্রু ইমপ্লিমেন্টেশন অব বিএসিএস অ্যান্ড আই বিএএস প্লাস স্কিমের আওতায় উদ্ভাবিত স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানটির যৌথভাবে উদ্বোধন করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল ইসলাম, এনবিআরের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন ও জাতীয় কর্মসূচি পরিচালক মো. হাবিবুর রহামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ট্রেজারি চালানের অর্থ জমা দেওয়ার প্রচলিত পদ্ধতি সহজীকরণ, গ্রাহক ভোগান্তি কমানো, ভুয়া চালান জমা ও রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা রোধসহ সঠিক সময়ে চালানের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করার জন্য স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি উন্নয়ন করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের যে কোন শাখায় ট্রেজারি চালানের অর্থ জমা নেওয়া যাবে। বর্তমানে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নয়টি শাখা এবং সোনালী ব্যাংকের ১২২৪টি শাখায় ট্রেজারি চালানের অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি সারাদেশে তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ের ঢাকা মহানগরীর সোনালী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের সব শাখায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখায় এবং তৃতীয় পর্যায়ে সারাদেশে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখায় বাস্তবায়ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হলে সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হবে। একই সঙ্গে রাজস্ব জমা দেওয়া ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।