ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রযুক্তি সহায়তা দেবে নরওয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রযুক্তি সহায়তা দেবে নরওয়ে

ঢাকা: বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমির অর্থনীতির বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত অ্যাসপেন রিকটার ভেন্ডসেন।  

তিনি বলেন, সমুদ্রসম্পদ আহরণে ঐতিহ্যগতভাবে নরওয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারে।  

রোববার (১১ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা জানান। এসময় অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের উন্নয়নে নরওয়ের কারিগরি সহায়তা, এ শিল্পে কর্মরত জনবলের প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক আবর্জনা ও শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আধুনিক প্রযুক্তিতে শুঁটকিমাছ সংরক্ষণসহ অন্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের উন্নয়নে নরওয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কারিগরি সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ক্রমেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করছে।  

এ শিল্পের শ্রমিক ও জনবলের দক্ষতা বাড়াতে নরওয়ে থেকে প্রশিক্ষক ও কারিগরি সহায়তা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা সুনীল অর্থনীতির বিরাট সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এর ফলে সমুদ্র সম্পদকেন্দ্রিক ব্যাপক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার সুযোগ হয়েছে।  

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের উন্নয়নে নরওয়েবিগত দশ বছর ধরে সহযোগিতা করে আসছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এ শিল্পের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।  

তিনি এ শিল্পের আধুনিকায়ন, সমুদ্রসম্পদ আহরণ, সামুদ্রিক মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ড্রাই ফিশ শিল্প স্থাপন এবং সমুদ্র ও শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নরওয়ের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

এর আগে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

এসময় ইরানের রাষ্ট্রদূত করোনা মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, চলমান মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক অর্জন প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।  

তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বাংলাদেশ আন্তরিক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।