ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২২ সালের মধ্যে পোশাক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার দাবি

none | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
২০২২ সালের মধ্যে পোশাক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার দাবি

ঢাকা: ২০২২ সালের মধ্যে স্থানীয় পোশাক খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের এমন দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম।

রোববার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে শিশুশ্রম দূরীকরণে এক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ)। ‌‘স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানার শিশুশ্রম নিরসন: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলএফের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিন।

কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত স্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানাগুলোকে মডেল ধরে বিএলএফের তৈরি করা এই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, অত্র কারখানাগুলোতে শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত শিশুদের শতকরা হার ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার এবং ৫-১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। তবে এমন তথ্য নাকচ করেছেন সভায় উপস্থিত গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন।  

তিনি বলেন, আমার এলাকায় অর্থ্যাৎ কেরানীগঞ্জ এ ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী কোনো শিশু শ্রমিক নেই। আমাদের কারখানাগুলোতে ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ নারী শ্রমিক। শিশুশ্রম আমাদের এলাকায় আছে, সব জায়গাতেই আছে তবে এই প্রতিবেদনে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবে নেই।  

কিন্তু যথাযথ তথ্য উপাত্ত এবং নিয়ম মেনেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিএলএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।  

গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম মালিক ও শ্রমিক নেতাদের কাছে শিশুশ্রম কবে নাগাদ শূন্যে নামিয়ে আনা যায় সেবিষয়ে জানতে চান। এর উত্তরে প্রতিনিধিরা জানান, ২০২২ সাল নাগাদ এ খাতকে শিশুশ্রম মুক্ত করা যাবে।

এবিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, আমিও এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। ২০২২ সালের মধ্যে এ খাতকে আমরা শিশুশ্রম মুক্ত দেখতে চাই। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কলেবর খুব স্বল্প তবে আমাদের পরিধি অনেক বড়। প্রায় ৬ কোটি পরিবারের সঙ্গে আমাদের কাজ। এ স্থানীয় পোশাক খাতে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ নারী কর্মী এবং ৬০ থেকে ৪০ শতাংশ পুরুষ কর্মী আছেন। সেই হিসেবে এ মন্ত্রণালয় নারীর কর্মসংস্থান এবং ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। আমরা আশা করছি, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এ খাতে শ্রম দেওয়া শিশুদের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব।  

গোলটেবিল আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে আইনজীবী সালমা আলী, বিএনএফের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান এবং মহাসচিব এ জেড এম কামরুল আনামসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।