ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বগুড়ায় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জমে উঠেছে খেলনার দোকান

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
বগুড়ায় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জমে উঠেছে খেলনার দোকান

বগুড়া: বগুড়ার সদর উপজেলার মালতীনগর, চেলোপাড়া, নামাজগড়সহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপসহ আশপাশের এলাকায় দুর্গোৎসব উপলক্ষে খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। শেষ সময়ে জমে উঠেছে তাদের বেচাকেনা।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, ভক্ত সাধারণ ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে আসা শিশুদের রকমারি খেলনা কেনার দৃশ্য।

বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটা পূজামণ্ডপ এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে মাদুরের ওপর মাটির তৈরি রকমারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসিয়েছেন দোকানিরা। এরমধ্যে হাঁস, মোরগ, পুতুল, বাঘ, হরিণ, মাছ, আম, টিয়া, তরমুজ, হাতি, গরু, বিড়াল, হাঁড়ি-পাতিল, ফুলদানি, মাটির ব্যাংক ও বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী অন্যতম। খেলনাগুলো সাজানো-গোছানো ভাবে রাখা রয়েছে প্রত্যেকটি দোকানে। শিশুরা তাদের মা-বাবার সঙ্গে পূজামণ্ডপ ঘুরে ছুটছেন সেসব দোকানগুলোতে। পছন্দের খেলনা হাতে নিয়ে দেখছেন ও বায়না করছে কিনতে।

শহরের মালতিনগর পূজামণ্ডপের পাশে খেলনা সামগ্রীর দোকান নিয়ে বসেছে সুজিত পাল। হরেক রকমের খেলনার পসরা সাজানো তার দোকানে। পাশেই শোভা পাচ্ছিল আম, আপেল-কমলা-কামরাঙা ও বাহারি রঙের আতা।

এমদাদুল হক, সালাম হোসেন, বাপ্পা পালসহ কয়েকজন দোকানি বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে পূজা কমিটির নির্দেশ অমান্য ও বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করেই তারা দোকান বসিয়েছে। কেন না বছরের এ উৎসবের অপেক্ষায় থাকেন তারা। করোনার কারণে মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের আয় কমেছে। মাটির তৈরি সামগ্রীগুলো পূজার মেলাতে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে বলেও জানান তারা।

তারা বলেন, শেষ দিনে এসে মেলাতে বেচাকেনা বেড়েছে। মাটির তৈরি খেলনা সামগ্র ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পুতুল, প্লাস্টিকের তৈরি ফুল, খেলনা পিস্তল, নানা মডেলের গাড়ি, হারমোনিয়াম, গিটার, কুকুর, বিড়ালসহ হরেক রকমের খেলনা রয়েছে তাদের কাছে।

চন্দ্রিমা মুখার্জি, সুব্রত রায়, সুজিত দাসসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর পূজামণ্ডপগুলোতে মেলা বসে। প্রতিবছর বড় পরিসরে মেলাগুলো বসলেও এবার তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। কেন না করোনা সংক্রমণ রোধে কেন্দ্রীয় ২৬টি নির্দেশনার মধ্যদিয়ে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। এর মধ্যে মেলা না বসানোর নির্দেশনা রয়েছে। তবুও যেহেতু পূজার সঙ্গে মেলার সম্পর্ক তাই প্রতিটি মণ্ডপের পাশে কোনো না কোনো স্থানে মেলা বসেছে।

তারা বলেন, শিশু কিশোর-কিশোরী মাটির তৈরি পণ্য বেশি পছন্দ করে। তাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজানো হয় এবং হরেক রকম খেলনা সামগ্রীর আমদানি ঘটায় দোকানিরা। শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতারা বাসাবাড়িতে সাজিয়ে রাখার জন্য মাটির তৈরি সামগ্রী কিনেও থাকেন।  

সবমিলিয়ে দুর্গোৎসবের বিদায় বেলায় এসে খেলনার বেচাকেনা অনেকটা বেড়ে গেছে। সকাল থেকেই পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে ভক্ত ও দশনার্থীরা তাদের সঙ্গে আসা শিশুদের নিয়ে এসব খেলনা সামগ্রী কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
কেইউএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।