ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড পেলো ইভ্যালি

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২০
ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড পেলো ইভ্যালি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছেন ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন।

ঢাকা: ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে দেশীয় ই-কমার্সভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি। ফুড ডেলিভারি সেবা ইফুডর জন্য এই সম্মাননা পুরস্কার পেলো প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (০৯ নভেম্বর) ইভ্যালি থেকে পাঠানো এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রোববার (৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইক্যাবের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১০০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং ১২ ব্যক্তিকে ই-কমার্স মুভারস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির সময়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

রাজধানীর পূর্বাচলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি জানিয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, আজকের এই ইভ্যালির পেছনে আমার অনুপ্রেরণা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে পদ্মাসেতুর বাস্তবায়ন আমাকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছে। ইভ্যালি এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই চারটি প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এর মধ্যে ইভ্যালির ৪০ লাখ নিবন্ধিত গ্রহক রয়েছে এবং ২৫ হাজার বিক্রেতা রয়েছে।  ইফুড নিয়ে রাসেল বলেন, ইফুড দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্য সরবরাহ পরিসেবা প্রতিষ্ঠান। যেখানে প্রায় এক হাজার ৫০০ নিবন্ধিত রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্ট থেকে প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার ফুড ডেলিভারি দিয়ে থাকে ইফুড। অন্যদিকে ইবাজারেও গ্রাহকেরা নিজেরাই নিজেদের পণ্য কেনা-বেচা করতে পারেন। আর ইখাতায় ব্যবসায়ীরা তাদের দৈনন্দিন হিসাব রাখতে পারেন।

ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠান একসময় বাংলাদেশের আলিবাবা, অ্যামাজন হবে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সংকটের সময়ে প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন তরুণরা পরিবারের মায়া ত্যাগ করে দেশ ও জাতীর স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তেমনি করোনাকালেও তরুণরা, ই-কমার্স উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থের উর্ধ্বে গিয়ে নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য দেশীয় উদ্যোক্তারাই তৈরি হবে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে নগদ, ইভ্যালি, মিনা বাজার, স্বপ্ন ইত্যাদি যেভাবে এগিয়ে গেছে আগামী দিনে তারাই অ্যামাজন, আলিবাবার মতো জায়ান্ট এ পরিণত হবে। করোনার শুরু থেকেই আমরা সব ই-কমার্স কার্যক্রমকে জরুরি সেবার আওতায় নিয়ে এসে তাদের কার্যক্রম চলমান রাখার সুযোগ করে দিয়েছি এবং এফ-কমার্স ও ই-কমার্স মিলিয়ে এক লাখ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ই-ক্যাবের ১৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।