ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশে বিনিয়োগ-বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
বাংলাদেশে বিনিয়োগ-বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান

ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ-বাণিজ্য বাড়াতে তুরস্ক আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এরইমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। উভয় দেশের বিনিয়োগ-বাণিজ্য কিভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করতে চায় তুরস্ক।  

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরানের সঙ্গে মতিবিনিময় সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলামসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যও বাড়ছে। বাণিজ্যের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশ বেশি রপ্তানি করে তুরস্কে। বাংলাদেশের পাটপণ্যের বড় ক্রেতা তুরস্ক। গত বছরও ২০০ মিলিয়নের বেশি মূল্যের পাটপণ্য তুরস্কে রপ্তানি করা হয়েছে। বাণিজ্য জটিলতার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক দিতে হচ্ছে, ফলে রপ্তানিতে কিছু সমস্যা হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সমস্যা চিহ্নিত করে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা হলে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ তুরস্কে ৪৫৩ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ২৩৩ দশিমক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। তুরস্কের সঙ্গেও বাংলাদেশের জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন রয়েছে। এ কমিশনকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আইসিটি, ওষুধ ও তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করলে তুরস্ক লাভবান হবে।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুসতফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। তুরস্ক বাংলাদেশের পাটপণ্যের এক নম্বর ক্রেতা। তৈরি পোশাকও বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে। এর ডিজাইন নিয়েও তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী। ওষুধ আমদানির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ওষুধ শিল্পের মেশিনারিজ তুরস্ক সরবরাহ করতে পারে।

তিনি বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে জয়েন্টভেঞ্চারেও কাজ করতে আগ্রহী। একইসঙ্গে অ্যান্টি-ডাম্পিং প্রত্যাহার ও তৈরি পোশাক রপ্তানি ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমোনোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে। করোনা সফলভাবে মোকাবিলার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।