ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশীয় শিল্পের অনুকূলে নীতিমালা সাজানোর পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
দেশীয় শিল্পের অনুকূলে নীতিমালা সাজানোর পরামর্শ ‘শিল্পোন্নত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার

ঢাকা: দেশীয় শিল্পের অনুকূলে আমদানি-রপ্তানি নীতি, ব্যাংকিং নীতি ও শিল্প নীতিকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

একই সঙ্গে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ দ্রুত বিতরণের জন্য ব্যাংকগুলোর প্রতি আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘শিল্পোন্নত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যে সব শিল্প পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, সেগুলো আমদানির ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশীয় পণ্যের রপ্তানি উৎসাহিত করতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের বিশেষ ইনসেন্টিভ দিতে হবে।

বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত এবং বিটাকের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা আহ্বান জানান তিনি। শিল্প প্রতিমন্ত্রী এ সময়
খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বত্র স্থানীয় কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। যেসব জমিতে ফসল হয় না সেখানে জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত অবকাঠামো উন্নয়ন করে শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে। শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও দেশের শিল্পখাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর শিল্প কারখানাসমূহ জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য নির্মূল ও আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্নির্মাণে জাতির পিতা কৃষির পাশাপাশি শিল্পকেও যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর শিল্প কারখানার পাকিস্তানি মালিকরা পালিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু এ সব কারখানাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে রক্ষা করেন।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ও বৈষম্য রোধকল্পে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যক্তি খাতকেও প্রাধান্য দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বিশেষ করে, নিজস্ব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যাতে ক্ষুদ্র, কুটির ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পখাত এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু ১ম পঞ্চবার্ষিকীতে বিশেষ কর্মসূচি নেন। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ও বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিসিআইসি’র আওতাধীন শিল্পকারখানাসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা অনলাইন মাধ্যমে সভায় যুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।